সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় ছিলেন বামেদের ‘পোস্টার বয়’। সেই কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar) এবার যোগ দিলেন কংগ্রেসে। মঙ্গলবার শহিদ ভগত সিংয়ের জন্মবার্ষিকীতেই কানহাইয়াকে কংগ্রেসে স্বাগত জানান রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কানহাইয়ার সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিলেন গুজরাটের নির্দল বিধায়ক তথা আরেক বামপন্থী যুব নেতা জিগনেশ মেবানিও। রাহুলের উপস্থিতিতেই কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন দুই তরুণ নেতা।
তবে, কানহাইয়াদের যোগদান নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। মঙ্গলবার সকালেই জানা যায়, কানহাইয়া সিপিআই (CPI) ছাড়ার আগে দলীয় কার্যালয়ের এসিও নাকি খুলে নিয়ে গিয়েছেন। সেটা নিয়ে নেটদুনিয়ায় বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। তবে, আসল বিতর্ক শুরু হয় কংগ্রেসের অন্দরে। তরুণ নেতাদের দলে নেওয়া নিয়ে আপত্তি তোলেন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা মণীশ তিওয়ারি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে বামপন্থীরা মতাদর্শগতভাবে কংগ্রেসের থেকে এতটা আলাদা, তাঁদের কেন দলে নেওয়া হচ্ছে? বস্তুত মণীশ ছাড়াও দলের অন্দরে অনেকেই কানহাইয়াদের যোগদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে, দুই তরুণ নেতাকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে অনড় ছিলেন রাহুল গান্ধী।
মঙ্গলবার প্রথমে দিল্লির আইটিও ময়দানে শহিদ-এ-আজম ভগত সিং পার্কে যান কানহাইয়া, জিগনেশরা (Jignesh Mewani)। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী। একসঙ্গে হাতে হাত রেখে বিপ্লব গড়ার ডাক দেন তাঁরা। তারপরই এআইসিসি সদর দপ্তরে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন তরুণ দুই নেতা।
বামপন্থা ছেড়ে কেন কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিলেন? কানহাইয়া বলছেন, “এই দেশের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক দলে আমি এই জন্যই যোগ দিলাম কারণ আমার মনে হয়, কংগ্রেস না বাঁচলে, দেশ বাঁচবে না। আমাদের মনে হয়, আজ দেশের ভগত সিংয়ের বীরত্বের প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন গান্ধী এবং আম্বেদকরের মতবাদের। আপনি ব্যক্তিত্বকে পিষে ফেলতে পারেন। কিন্তু আদর্শ কখনও পিষে ফেলা যায় না।”