সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্ডিগো বিপর্যয়ে চার 'ফ্লাইট অপারেশন ইন্সপেক্টর' বরখাস্ত করে দিল দেশের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ডিজিসিএ। বিভিন্ন বিমান সংস্থার যাত্রী পরিষেবায় কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না, পরিষেবা দেওয়ার সমস্ত রসদ বিমান সংস্থার কাছে রয়েছে কি না, এ সব বিষয় দেখভাল করার জন্যই ডিজিসিএ 'ফ্লাইট অপারেশন ইন্সপেক্টর' নিয়োগ করে থাকে। যে চারজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তাঁদের দায়িত্ব ছিল ইন্ডিগোর কাজকর্ম দেখভাল করা। যা তাঁরা করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেই খবর ডিজিসিএ সূত্রে।
ইন্ডিগো বিভ্রাটের পরেই কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু ডিজিসিএ-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। চার আধিকারিককে বরখাস্ত করে কি মন্ত্রীর তোলা গাফিলতির অভিযোগেই সিলমোহর দিল ডিজিসিএ? এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
বিমান বিভ্রাটের জেরে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বহু যাত্রী। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিগোর কাজকর্মে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিজিসিএ। বিমান সংস্থার সদর দফতরে ঘাঁটিও গেড়েছেন ডিজিসিএ-র কর্তারা। ওই অফিসারেরা ইন্ডিগোর কর্মীদের ডিউটি-রস্টারের পাশাপাশি সংস্থাটি এখনও কত উড়ান বাতিল করছে, সময় মতো বাকি উড়ান চলছে কি না, যাত্রীদের টিকিটের ভাড়া ও জমা নেওয়া মালপত্র ঠিকমতো ফেরত দেওয়া হচ্ছে কি না, সে সবে নজর রাখবেন। তাঁদের দৈনিক রিপোর্টও পাঠাতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ইন্ডিগো-বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে গড়া ডিজিসিএ-র চার সদস্যের প্যানেলের সামনে হাজিরা দিয়েছেন ইন্ডিগোর সিইও। সাম্প্রতিক অব্যবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যসমৃদ্ধ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। সূত্রের মতে, ঘটনাপ্রবাহ যে তাঁদের ইচ্ছাকৃত ছিল না, কার্যত তারই প্রমাণ দেওয়ার দায় বর্তেছে সিইও-র উপরে।
