সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধুনিক ড্রোনযুদ্ধে নয়া মাইলফলক ছুঁল ভারত। শুক্রবার ডিআরডিও-র তরফে সফল পরীক্ষা করা হল ULPGM-V3 মিসাইলের। এই বিশেষত্ব হল, যুদ্ধবিমান বা কোনও লঞ্চার নয়, মাঝ আকাশ থেকে বিশেষ এই মিসাইল নিক্ষেপ করবে ড্রোন। যার অর্থ যুদ্ধক্ষেত্রে কোনওরকম ঝুঁকি এড়িয়ে শত্রুকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম ভারত। বলার অপেক্ষা রাখে না, আগামী দিনে ভারতের এই অত্যাধুনিক ড্রোন ঘুম ছোটাবে পাকিস্তানের।
শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে জাতীয় মুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে এই পরীক্ষা চালায় ডিআরডিও। এর পর এক্স হ্যান্ডেল থেকে দেশবাসীকে সুখবর দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, 'দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এ এক বিরাট সাফল্য। ডিআরডিও কুর্নুলে ড্রোন পরিচালিত গাইডেড মিসাইলের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এই সাফল্য প্রমাণ করে ভারত আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।'
সেনার তরফে জানা যাচ্ছে, ULPGM-V3 নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম গাইডেড মিসাইল। যা ড্রোন থেকে নিক্ষেপ করা যায়। যেহেতু ড্রোন থেকে নিক্ষেপ করা হয় মিসাইলটি তাই যুদ্ধে বড়সড় কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা একেবারেই নেই। এতে রয়েছে লক্ষ্যভেদে সক্ষম অত্যাধুনিক ইমেজিং ইনফ্রারেড। প্রপালসন সিস্টেম হল ডুয়াল থ্রাস্ট। যাতে এর গতি ও পাল্লা দুটোই আগের মডেলের থেকে অনেক বেশি। ওজন কম হওয়ার ফলে প্রায় সবধরনের ড্রোনে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এর লক্ষ্যভেদের ক্ষমতা এতটাই নিখুঁত যে জঙ্গল হোক বা রুক্ষ পাহাড়, আকাশ থেকে মুহূর্তে ধ্বংস করে দিতে পারে শত্রুঘাঁটি।
বিশেষ ধরনের এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন মাত্র ১২.৫ কেজি। দিনে এই ক্ষেপণাস্ত্র ৪ কিলোমিটার ও রাতে ২.৫ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। ULPGM-V3 এর পাশাপাশি এই সিরিজের আরও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে V2 এবং V1। যার ওজন ও পাল্লা আলাদা আলাদা। এই প্রযুক্তিটি প্রথমবার ২০২৫ সালের অ্যারো ইন্ডিয়া প্রদর্শনীতে প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল।
