সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নমাজ (Namaz) পড়া নিয়ে আগেই আপত্তি করেছিলেন গুরগাঁওয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। এবার সেই আপত্তিকে মান্যতা দিয়ে আট এলাকায় প্রকাশ্যে নমাজ পড়া নিষিদ্ধ করল প্রশাসন। তারা জানিয়েছে, স্থানীয়দের আপত্তিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গুরগাঁওয়ের (Gurgaon) ৩৭ এলাকায় প্রকাশ্যে নমাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রকাশ্যে নমাজ পড়া নিয়ে স্থানীয়রা আপত্তি জানিয়েছে। তাই ৮টি স্থানে নমাজ পড়া নিষিদ্ধ করা হল। ভবিষ্যতে অন্যান্য জায়গা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আপত্তি করলে সেখানেও নমাজ পড়া বন্ধ করা হবে। আর প্রকাশ্যে নমাজ পড়ার ক্ষেত্রের প্রশাসনিক অনুমতি থাকা বাধ্যতামূলক। আটটি এলাকার মধ্যে রয়েছে বাঙালি বসতি, ডিএলএফের ফেজ তিনের সেক্টর ফাইভ, সুরাট নগরের ফেজ ওয়ান, ডিএলএফ স্কোয়ার টাওয়ার। মসজিদ, ইদগাহ ছাড়া নিজস্ব জায়গায় নমাজ পড়া যেতে পারে। সেখানে কেউ আপত্তি জানাতে পারবে না। জানিয়েছে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: একের পর এক কটাক্ষ হজম করেও প্রশান্ত কিশোরকে কাজে লাগাতে চায় কংগ্রেস! তুঙ্গে জল্পনা]
কিন্তু কেন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্থানীয় প্রশাসন? গত ২৯ তারিখ গুরগাঁওয়ের সেক্টর ৪৭ এলাকায় এক মসজিদে নমাজ চলাকালীন সেখানে হাজির হয় দক্ষিণপন্থী বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ছিল ‘গুরগাঁও প্রশাসন ঘুম থেকে জেগে ওঠো।’ পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে গুরগাঁওয়ের এসডিএম অনীতা চৌধুরী এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ”এখন এই এলাকা শান্তিপূর্ণই রয়েছে। যারা নমাজে বাধা সৃষ্টি করছিল তাদের আটক করা হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাদের সম্পর্কে খবর আসছিল। অবশেষে আজ পদক্ষেপ করা সম্ভব হল।”
ছড়িয়ে পড়েছিল বিক্ষোভের ভিডিও ফুটেজ। সেখানে দেখা গিয়েছে তাদের “বন্ধ করো, বন্ধ করো” স্লোগান দিতে। তাদের হাতে ছিল নানা রকম পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড।অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক পরা ছিল না।আরেকটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন পুলিশকর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের রুখতে পুলিশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। স্থানীয়দের আপত্তির পর ৮টি জায়গায় এবার প্রকাশ্যে নমাজ পড়া নিষিদ্ধ করল প্রশাসন।