সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: EPFO-র আওতায় বর্ধিত পেনশনের আবেদন করার সময়সীমা বাড়ল। বেশি পেনশন পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আবেদন করার সময়সীমা বেড়ে হল আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত। আগে এই মেয়াদ ছিল ৩ মে অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত।
কী এই বর্ধিত পেনশন প্ল্যান? এই মুহূর্তে EPFO-র অধীনে সংস্থা এবং কর্মীর বেসিক বেতনের ১২ শতাংশ বেতন কেটে জমা করা হয়। এর মধ্যে কর্মীর ১২ শতাংশের পুরোটাই জমা পড়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডে। এবং সংস্থার তরফে দেওয়া ১২ শতাংশ দুটি ভাগে ভাগ হয়। এই ১২ শতাংশের মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ জমা হয় পেনশন স্কিমে। বাকি ৩.৬৭ শতাংশ জমা পড়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডে। পেনশন স্কিমে (Pension Scheme) ৮.৩৩ শতাংশ সংস্থার দেওয়া টাকার সঙ্গে সরকারও ১.৬৭ শতাংশ অর্থ দেয়। অর্থাৎ সব মিলিয়ে কর্মীর বেসিক বা মূল বেতনের ১০ শতাংশ টাকা জমা পড়ে পেনশন খাতে। আর প্রায় ১৫ শতাংশ বেতন জমা পড়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডে।
[আরও পড়ুন: নবজোয়ার কর্মসূচিতে এবার তৃণমূল সুপ্রিমোও, মালদহে একই মঞ্চে থাকবেন মমতা-অভিষেক]
কিন্তু এক্ষেত্রেও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কোনও কর্মীর বেসিক বেতন যদি ১৫ হাজার টাকার বেশি হলেও পেনশনের ক্ষেত্রে তাঁর মূল বেতন ১৫ হাজার টাকা ধরা হত। অর্থাৎ ১৫ হাজার টাকার ৮.৩৩ শতাংশই পেনশন স্কিমে জমা পড়ে। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে এই ১৫ হাজার টাকার সীমা তুলে দেওয়া হবে। বদলে পেনশনের ক্ষেত্রেও সব কর্মীর ‘আসল মূল বেতনের’ ৮.৩৩ শতাংশই পেনশন স্কিমে কাঁটা হবে। অর্থাৎ যাঁদের মূল বেতন ১৫ হাজার টাকার বেশি তাঁরা আরও বেশি পরিমাণ টাকা পেনশন স্কিমে জমা করতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: নবজোয়ার কর্মসূচিতে এবার তৃণমূল সুপ্রিমোও, মালদহে একই মঞ্চে থাকবেন মমতা-অভিষেক]
গত বছরের ৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বর্ধিত পেনশনের জন্য নয়া ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ দিয়েছিল। কর্মীদের চারমাস সময় দেওয়া হয়েছিল নাম নথিভুক্ত করানোর। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর সেটা বৃদ্ধি করে সরকারই। সর্বশেষ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ মে অর্থাৎ বুধবার। সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত ১২ লক্ষ কর্মী এই বর্ধিত পেনশন স্কিমের জন্য আবেদন করেছেন। সেটা আগামী দিনে আরও অনেকটাই বাড়তে পারে। সেই সম্ভাবনা দেখেই আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত নাম নথিভুক্তকরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।