সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বে থাকা মল্লিকার্জুন খাড়গের বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলায় দল থেকে বহিষ্কৃত প্রাক্তন বিধায়ক মহম্মদ মুকিম। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে প্রবীণ খাড়গের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুকিম এবং ওয়ানড়ের সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে এই দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। এরপরই দলবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় ওই নেতাকে।
ওড়িশার বাসিন্দা কংগ্রেস নেতা মহম্মদ মুকিম। সম্প্রতি ওড়িশা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির তরফে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, 'দলের সকলকে অবহিত করা হচ্ছে যে, দলবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে মহম্মদ মুকিমকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এআইসিসি।' এই ঘটনার পরই সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুকিম বলেন, আমি সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম দল এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দলে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন রয়েছে। খাড়গে একজন সিনিয়র নেতা। তাঁর বয়স ৮৩ বছর। এই বয়েসে কঠোর পরিশ্রম, দৌড়াদৌড়ি এবং মানুষের সাথে যোগাযোগ তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁকে উপদেষ্টা হিসেবে রেখে তরুণ কাউকে সামনে আনা হোক।"
তিনি আরও জানান, "আমাদের দলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ আরও অনেক তরুণ নেতা-নেত্রী রয়েছেন। রাহুল লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সোনিয়াজির কাছে আমার ব্যক্তিগত আবেদন ছিল নতুন কাউকে সভাপতি করার।" সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ওই চিঠিতে ব্যক্তিগত অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন মুকিম। তাঁর অভিযোগ ছিল, তিন বছর ধরে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। দলের নেতা ও কর্মীদের মধ্যে যে দূরত্ব ক্রমশ বেড়ে চলেছে সে কথাও উঠে আসে তাঁর চিঠিতে।
মুকিম অভিযোগ করেন, "দিনের পর দিন অবহেলা ও নিচুতলার নেতা-কর্মীদের কথা না শোনার জেরে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মিলিন্দ দেওরা এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো বহু নেতা দল ছেড়েছেন। শচীন পাইলট, ডিকে শিবকুমার, রেবন্ত রেড্ডি, শশী থারুরের মতো নেতৃত্বকে সামনের সারিতে আনার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের ফল খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে।" দলের এহেন সিদ্ধান্তে অভিমানী মুকিম জানান, "সারা জীবন ধরে দলের সেবা করার পর দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ একজন কর্মীর প্রতি এই আচরণ কেবল হতাশাজনকই নয়, বরং হৃদয়বিদারক।"
