রাজ্যে শুধুই নৈরাজ্য! ‘সিরিয়া-সম’ মণিপুর নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রাক্তন সেনাপ্রধান

09:39 AM Jun 17, 2023 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতিদাঙ্গায় জ্বলছে মণিপুর। আমজনতা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কাররই নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়। হাজার হাজার সেনা আধাসেনা নামিয়েও রাশ টানা যাচ্ছে না হিংসায়। এহেন পরিস্থিতিতে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রাক্তন সেনাপ্রধান বেদপ্রকাশ মালিক। কেন্দ্রের কাছে দ্রত পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কে রঞ্জন সিংয়ের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়ায় বুধবার থেকে। ১১ জনের মৃত্যুর পরেই রঞ্জন সিংয়ের বাড়িতে হামলা চালায় বিশাল সংখ্যক দুষ্কৃতী। নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীদের আটকানো যায়নি। চারদিক থেকে পেট্রল বোমা ছোঁড়ে তারা। দাউদাউ করে আগুন ধরে যায় মন্ত্রীর বাসভবনে। যদিও ঘটনার সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না।

[আরও পড়ুন: গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গায় বেকসুর খালাস ৩৫ জন, ‘স্বতঃপ্রণোদিত হিংসা’, মত বিচারকের]

এই ঘটনার পরই রাজ্যে নৈরাজ্য নিয়ে টুইটারে ভয় ও আশঙ্কা প্রকাশ করেন সেনার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারল এল নিশিকান্ত সিং। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘আমি একজন সাধারণ ভারতীয়। মণিপুরে অবসর যাপন করছি। এই রাজ্যে এখন শুধুই নৈরাজ্য। এখানে পরিস্থিতি কার্যত লিবিয়া, লেবানন, নাইজেরিয়া ও সিরিয়ার মতো। যে কোনও মুহূর্তে ধনেপ্রাণে মারা পড়তে হবে। মনে পচ্ছে মণিপুরকে একা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেই কি শুনছেন?’

অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারলের এহেন আর্তির পরেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রাক্তন সেনাপ্রধান বেদপ্রকাশ মালিক। কেন্দ্রের কাছে দ্রত পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘মণিপুর থেকে এক প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেলের এই আর্তি খুবই দুঃখজনক। মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে দ্রত পদক্ষেপ জরুরি।’

উল্লেখ্য, মণিপুরে অশান্তি শুরু হওয়ার পরেই গোটা রাজ্যে কারফিউ জারি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে সেরাজ্যে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করেছিলেন। সাময়িক ভাবে অশান্তি কমলেও ফের হিংসা ছড়াচ্ছে মণিপুরে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মণিপুর ভাগের দাবি উঠছে রাজ্যের শাসক দল বিজেপির অন্দরেই। বিরোধীরাও দাবি করেছেন, মণিপুরের হিংসা থামাতে অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ করতে হবে।

[আরও পড়ুন: NCERT’র পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন ‘যুক্তিসঙ্গত’, বিতর্কের মধ্যেই কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়ে দাবি ৭৩ শিক্ষাবিদের]

Advertisement