সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে থামছে না হিন্দু নিপীড়ন। দিন দিন চরমে উঠছে অত্যাচার। আপাতত আরও এক মাস জেলেই থাকতে হবে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে। যত দিন যাচ্ছে আরও জোরাল হচ্ছে তাঁর মুক্তির দাবি। প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে ভারতে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে সংঘাত বাড়ছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। এর মাঝেই ঢাকায় তলব করা হয় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় বর্মাকে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকায় যাচ্ছেন বিক্রম মিশ্রি! সংখ্যালঘুদের 'বাঁচাতে' ই কি এই পদক্ষেপ নয়াদিল্লির?
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারত, ব্রিটেনের মতো দেশ। চিন্ময়ের পরেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে একাধিক সন্ন্যাসীকে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে ভারতীয় হিন্দু জানলেই তাঁদের উপর বেড়ে যাচ্ছে অত্যাচার। বিপন্ন গণতান্ত্রিক কাঠামো। এর মাঝেই হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে গিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে ত্রিপুরার আগরতলার বাংলাদেশি ডেপুটি হাই কমিশনে। ভারতের উপর চাপ বাড়াতে গতকাল মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকে ডাক পড়ে প্রণয় বর্মার। এই আবহে আজ জানা গেল আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় যেতে পারেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।
গত ৫ আগস্ট ব্যাপক গণ অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। ৮ আগস্ট মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। সব কিছু ঠিক থাকলে এই রাজনৈতিক পালাবদলের পর প্রথম কোনও ভারতীয় কূটনীতিক বাংলাদেশে পা রাখবেন। পিটিআই সূত্রে খবর, যদিও এখনও সরকারিভাবে বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরের ঘোষণা করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আধিকারিক জানিয়েছেন, বার্ষিক আলোচনার জন্য বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকে যেতে পারেন বিক্রম। তবে সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাঁর সফরের দিন বদল হতে পারে। তবে বিক্রম গেলে বাংলাদেশে হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। ফলে পদ্মপারে দিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব কী বার্তা দেন এবং পড়শি দেশে হিন্দু নির্যাতনে কতটা কমে সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।
উল্লেখ্য, ২ ডিসেম্বর আগরতলায় বাংলাদেশ ইস্যুতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় ত্রিপুরেশ্বরী সনাতন মন্ত্র ও হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের দুই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। অভিযোগ, সেই বিক্ষোভ চলাকালীনই আগরতলায় বাংলাদেশি উপদূতাবাসে হামলা হয়। এই ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ৩ পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে ত্রিপুরা সরকার। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে দূতাবাসের।কিন্তু হামলার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উপদূতাবাসটি।