shono
Advertisement
CJI DY Chandrachud

বিশেষভাবে সক্ষম দুই মেয়ে, কেন রাতারাতি বাড়ি ছাড়া সম্ভব না, জানালেন চন্দ্রচূড়

কঠিন জিনগত অসুখে ভুগছে প্রিয়াঙ্কা ও মাহি।
Published By: Kishore GhoshPosted: 07:48 PM Jul 07, 2025Updated: 07:54 PM Jul 07, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ধারিত সময়ের পরেও সরকারি বাসভবন ছাড়েননি দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়! বাড়ি খালি করার আর্জি জানিয়ে রবিবারই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোশাল মিডিয়ায় চন্দ্রচূড়কে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে নেটিজেনদের একাংশ। 'করদাতাদের পয়সায়' বিলাস, সম্মানজনক 'উচ্চতা থেকে পতন' ইত্যাদি সমালোচনা শুরু হয়। সোমবার একটি সংবাদমাধ্যমকে বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানালেন কোন পরিস্থিতিতে মেয়াদ ফুরোলেও সরকারি বাসভবন ছাড়তে পারেননি তিনি।

Advertisement

রবিবারই এই প্রসঙ্গে চন্দ্রচূড় জানান, ব্যক্তিগত কারণেই জন্য বাংলো ছাড়তে দেরি হচ্ছে। গোটা বিষয়টি তিনি শীর্ষ আদালতকেও জানিয়েছেন। চন্দ্রচূড় বলেন, "আমার দুই মেয়ে অসুস্থ। তাঁরা দিল্লি এইমসে চিকিৎসাধীন। উপযুক্ত একটি বাড়ির প্রয়োজন। আমি বাড়িও খুঁজছি।" তাঁর কথায়, “সরকারের তরফে আমার জন্য যে বাড়িটি বারাদ্দ করা হয়েছে, সেটি বসবাসের অযোগ্য। মেরামতির কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই আমি সেখানে চলে যাব।”

সোমবার প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জানান, তাঁর দুই মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ও মাহির কঠিন জিনগত অসুখে (Nemaline Myopathy) ভুগছে। এই অসুখে মাংসপেশী এবং শ্বাসযন্ত্র ঠিক মতো কাজ করে না। এর ফলে গিলতে, শ্বাস নিতে এবং কথা বলতে কষ্ট হয়। গোটা পৃথিবীতে এর কোনও চিকিৎসা নেই। যদিও ভারত ও বিদেশে গবেষণা চলছে। আসল কথা, এই মেয়েদের জন্য সাধারণ স্নানঘর চলবে না। যেখানে এতদিন তিনি ছিলেন, সেই সরকারি বাসভবনে বিশেষভাবে সক্ষম মেয়েদের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন তিনি। নতুন জায়গায় সেই ব্যবস্থা হচ্ছে। চন্দ্রচূড় জানান, মেয়েদের কারণেই আর পাঁচটা পরিবারের মতো রাতারাতি নতুন বাড়িতে ওঠা তাঁর পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • রবিবারই এই প্রসঙ্গে বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত কারণের জন্যই বাংলো ছাড়তে দেরি হচ্ছে।
  • বাড়ি খালি করার আর্জি জানিয়ে রবিবারই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
Advertisement