সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোথাও নষ্ট করা হয়েছে বড়দিনের সাজসজ্জা, কোথাও আক্রমণ করা হয়েছে ক্যারল দলকে, কোথাও আবার সোজা চার্চে ভাঙচুর। ঘটনাগুলি বিচ্ছিন্ন হলেও দেশের অন্যতম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী এতে ভীত-সন্ত্রস্ত। খ্রিস্টানদের উপর এই আক্রমণে ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের 'বিক্ষুব্ধ' সাংসদ শশী থারুর। বিজেপি তথা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলিকে নিশানা করে তিনি বলছেন, "এটা শুধু খ্রিস্টানদের উপর আক্রমণ নয়। এটা আমাদের সকলের উপর আক্রমণ।"
আসলে কেরলে জনসংখ্যার একটা বড় অংশ খ্রিস্টান। দীর্ঘদিন সে রাজ্যে খ্রিস্টান-মুসলিম-হিন্দুরা সম্প্রীতির সঙ্গেই বসবসা করেছেন। সমস্যা বেড়েছে ইদানিং। আরএসএস তথা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই খ্রিস্টানদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। বিশেষ করে বড়দিন ও বড়দিনের আগে একাধিক ক্ষেত্রে খ্রিস্টানদের হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে সরব কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলছেন, এভাবে খ্রিস্টান সংস্কৃতির উপর হামলা শুধু ওদের উপর নয়, সাংবিধানিক মূল্যবোধের উপরই আঘাত।
থারুর বলছেন, "অন্যের ধর্ম এবং ভিনধর্মের রীতিনীতিকে সম্মান কেরলের রাজনীতির মূলে। খ্রিস্টান সংস্কৃতির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এটা শুধু ওদের উপর আঘাত নয়, এটা প্রত্যেক ভারতীয়র উপর আঘাত।" কংগ্রেস সাংসদ বলছেন, কেরল তো বটেই দেশের অন্যান্য প্রান্তেও খ্রিস্টানদের আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। যা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। উদ্বেগ বাড়িয়েছে। আতঙ্কের পরিবেশে ধর্মাচরণ করতে হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। যা দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ।"
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দীর্ঘদিন বাদে থারুর পার্টিলাইন মেনে কংগ্রেস সাংসদের মতো কথা বলছেন। কিন্তু এই বদল কেন? রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, সদ্যই কেরলের স্থানীয় নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। তাতে ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। দলের সেই সাফল্যের পরই সম্ভবত থারুর নিজের অবস্থান নিয়ে নতুন করে ভাবা শুরু করেছেন।
