সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের পাশ করানো এক আইনে একটা আস্ত শিল্পে লালবাতি ঝুলে গেল! অনলাইন গেমিং আইন পাশ হওয়ার পর একে একে ড্রিম ১১, এমপিএলের মতো ১১টি বড় অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে খেলাধুলো বন্ধ করে দিয়েছে। যার অবধারিত ফল প্রচুর মানুষের কর্মহীন হওয়া।
বুধবারই অনলাইন গেম বন্ধ করার ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ধ্বনিভোটে সংসদে পাস হয়েছে এই প্রস্তাব। পরে রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে বিলটি আইনও হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে সংকটে পড়বেন বহু মানুষ। সংখ্যাটা চমকে দেওয়ার মতো। অন্তত দু'লক্ষ মানুষ এই অনলাইন গেমিং পোর্টাল বন্ধ হলে কাজ হারাবেন। একই সঙ্গে ধাক্কা খাবে দু'লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসাও। ফলে অর্থনীতিও যে ধাক্কা খাবে তাতে সন্দেহ নেই।
এই সমস্যার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি লেখা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে। দেশের তিন প্রধান গেমিং সংস্থার তরফে এই শিল্পক্ষেত্রটিকে রক্ষা করার আর্জি জানানো হয়েছে। রাতারাতি সব গেমিং পোর্টাল বন্ধ করায় প্রবল সংকটে পড়বেন এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। গেমস ক্রাফটের মদতপুষ্ট অল ইন্ডিয়া গেমিং ফেডারেশন, ড্রিম ইলেভেনের মদতপুষ্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ফ্যান্টাসি স্পোর্টস এবং গেমস টোয়েন্টিফোর বাই সেভেনের মদতপুষ্ট ই-গেমিং ফেডারেশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, এমন একটা সিদ্ধান্ত একটি নির্দিষ্ট শিল্পক্ষেত্রের কফিনে এক ধাক্কায় শেষ পেরেকটি মেরে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত। বড় ধাক্কা খাবেন এই দেশের এবং অনেক বিদেশি নাগরিকও।
এআইজি এফ-এর চিফ এক্সিকিউটিভ রোলাঁ ল্যান্ডার্স জানিয়েছেন, বর্তমানে এই ক্ষেত্রের বাণিজ্যের মোট মূল্য প্রায় দুই লক্ষ কোটি। এছাড়াও এই ক্ষেত্র থেকে ৩১ হাজার কোটি টাকার আয় হয়েছে এবং ২০ হাজার কোটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর হিসাবে জমা পড়েছে। বহু স্টার্ট আপ, ইঞ্জিনিয়ার, এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটার এর উপর নির্ভরশীল বলেও জানিয়েছেন রোলাঁ ল্যান্ডার্স। আর্থিক মুনাফার দিকটার বিষয়টিও মাথায় রেখে এই প্রসঙ্গটি বিবেচনা করা উচিত বলে অভিমত তাঁদের। যদিও কেন্দ্রের তরফে ওই আর্জিতে সাড়া মেলেনি।
