সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোয়া। সৈকত-স্বর্গ। সূর্য, বালি ও সমুদ্রের এক অনুপম ককটেল, যার সঙ্গে যৌবনোচ্ছ্বাসের সংশ্রব অনস্বীকার্য। কিন্তু এবার বোধহয় পরিচয় বদলাতে চলেছে গোয়ার। একে সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক এক কেন্দ্র হিসেবেই গড়ে তুলতে চাইছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। শনিবার নিজের লক্ষ্যের কথা শুনিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সনাতন রাষ্ট্র শঙ্খনাদ মহোৎসবে প্রমোদকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''আগে লোকে গোয়া আসত সূর্য, বালি ও সমুদ্রের জন্য। কিন্তু এসব এবার বদলাবে। পর্যটকরা এখানে আসবেন অসাধারণ মন্দির দর্শনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে।'' পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, এতদিন এখানকার মন্দিরের উপরে প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। প্রমোদের কথায়, ''সরকারের কোনও ভূমিকাই ছিল না রাজ্যের মন্দিরগুলির ম্যানেজমেন্টে।'' তাঁর ঘোষণা, গোয়া এবার আর 'ভোগভূমি' নয়, 'যোগভূমি' এবং 'গোমাতাভূমি' হয়ে উঠছে। মানুষ এখন আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার জন্যই গোয়ায় আসছেন বলেও দাবি তাঁর।
গোয়ার পৌরাণিক যোগসূত্র নিয়েও এদিন কথা বলেন প্রমোদ। মনে করিয়ে দেন, ''এটা ভগবান পরশুরামের মাটি।'' প্রসঙ্গত, পরশুরাম আরবসাগরে তির নিক্ষেপ করে গোয়ার সৃষ্টি করেছিলেন বলে পুরাণে বর্ণিত রয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, সম্প্রতি গোয়ায় পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের হিসেবে তা ১০.৫ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে গত বছর এই সময়ে গোয়ায় ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার পর্যটক এসেছিলেন, সেখানে এবছর এসেছিলেন ২৮ লক্ষ ৫০ হাজার পর্যটক। মূল্যবৃদ্ধির চাপে বিদেশি পর্যটক হ্রাস পাওয়ার আতঙ্কের মধ্যেই এই পরিসংখ্যান আশাপ্রদ বলেই মনে করছে গোয়া প্রশাসন।
