সংবাদ প্রতিবেদন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী শিবির যতই শোরগোল করুক না কেন, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকতে নারাজ মোদি সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী জুলাই মাসেই সংসদে শুরু হবে বর্ষাকালীন অধিবেশন। তার আগে কোনও বিশেষ অধিবেশন ডাকার পরিকল্পনা নেই বলেই জানা গেল সরকারি সূত্রে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। সেই মৃত্যুর বদলা নিতে ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে হামলা চালায় ভারত। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। যার জেরে দুই দেশের সামরিক উত্তেজনা চরম আকার নেয়। অপারেশন সিঁদুরের পর এই ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানায় কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যদিও বিরোধীদের দাবির প্রেক্ষিতে মোদি সরকারের তরফে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। এরই মাঝে বিদেশের মাটিতে দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান।
আসলে অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছিল, তারা ভারতের রাফালে-সহ ৬টি যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এই ইস্যুতে সিঙ্গাপুরে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের মুখে পড়েন সেনা সর্বাধিনায়ক। স্বীকার করে নেন পাক হামলায় যুদ্ধবিমান খুইয়েছে ভারত। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “যেটা ইতিবাচক দিক তা হল আমরা আমাদের কৌশলগত ভুলটা তখনই বুঝেছি এবং ভুল শুধরে দুদিন পর আবার সেই কৌশল প্রয়োগ করেছি। আমরা সমস্ত যুদ্ধবিমান উড়িয়েছি এবং দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে তা গুঁড়িয়ে দিয়েছি।” সেনা সর্বাধিনায়কের মন্তব্যের পর বিতর্ক চরম আকার নেয়। এই ইস্যুতে বিশদে আলোচনার জন্য সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবিতে সুর চড়ান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। অভিযোগ করেন, 'মোদি সরকার দেশকে বিভ্রান্ত করছে। যুদ্ধের কুয়াশা এখন ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে।’
তবে বিরোধী শিবির সুর চড়ালেও এখনই কোনও বিশেষ অধিবেশন ডাকতে একেবারেই নারাজ কেন্দ্র। সরকার মনে করছে, এই মুহূর্তে বিশেষ অধিবেশন ডাকার কোনও যৌক্তিকতা নেই। আগামী জুলাই মাসেই সংসদে শুরু হবে বর্ষাকালীন অধিবেশন। যা কিছু আলোচনা তা সেখানেই হতে পারে। সবমিলিয়ে বিরোধী শিবির যতই সরব হোক না কেন, এই ইস্যুতে তাদের খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ মোদি সরকার।
