সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম ডোজ কোভিশিল্ড (Covishield), দ্বিতীয় ডোজ কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। কিংবা প্রথম ডোজ কোভ্যাক্সিন, দ্বিতীয় ডোজ কোভিশিল্ড। টিকার সংকটের মধ্যে অনেকেই মিশ্র টিকা নেওয়ার কথা ভাবছেন। আবার কোথাও কোথাও ভুল করে এই ধরনের টিকা দেওয়াও হয়েছে। এই মিশ্র টিকা নেওয়ার ফলে নাকি অনেকে উপকারও পেয়েছেন। এবার সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছে সরকারের এক বিশেষজ্ঞ কমিটি। ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (CDSCO) তরফে এবার এই ধরনের মিশ্র টিকার ট্রায়াল শুরুর অনুমতি মিলল।
ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ (CMC, Vellore) কিছুদিন আগেই Covaxin এবং Covishield-এর মিশ্র টিকার চতুর্থ দফার ট্রায়ালের অনুমতি চেয়ে ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির কাছে আবেদন করেছিল। সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি সিএমসি ভেলোরকে প্রায় ৩০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর চতুর্থ দফার ট্রায়াল সেরে ফেলার অনুমতি দিয়ে দিল। এই ট্রায়ালের মাধ্যমে দেখে নেওয়া হবে, এক ব্যক্তিকে প্রয়োজনে দুটি আলাদা আলাদা টিকার ডোজ দেওয়া যাবে কিনা। আর দিলে সেটা কতটা কার্যকরী হবে। এর আগে এইডস এবং ইবোলার ক্ষেত্রে মিশ্র টিকা প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশে ফের সামান্য বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল]
করোনার (Coronavirus) প্রকোপ রুখতে মিশ্র টিকা দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকরা। অনেক গবেষকেরই দাবি, দুটি আলাদা সংস্থার টিকা নিলে একই টিকার দুই ডোজের তুলনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয়। জার্মানিতে আবার ইতিমধ্যেই মিশ্র টিকা নেওয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। সেদেশের চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল (Angela Merkel) নিজে দুটি ভিন্ন সংস্থার টিকা নিয়েছেন সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য। এদেশেও মিশ্র টিকাদানের ব্যাপারটি চিন্তাভাবনার স্তরে আছে।যদিও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এভাবে মিশ্র টিকা নেওয়ার বিপক্ষে। WHO মিশ্র টিকা নেওয়ার প্রবণতাকে বিপজ্জনক বলে আখ্যা দিয়েছে।