হেমন্ত মৈথিল: আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরাট এই মহাযজ্ঞে এখনও পর্যন্ত ডুব দিয়েছেন ১০ কোটির বেশি মানুষ। ৪৫ দিনের এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিরাট এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সাফল্য ব্যাখ্যা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। জানালেন, "মহাকুম্ভের সাফল্য নরেন্দ্র মোদির ভাবনারই প্রতিচ্ছবি।"
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যোগী বলেন, "ভারতের ঐতিহ্যের যথাযথ সম্মান পাওয়া উচিত। মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সরকার যে সম্মান করে এটা তারই অনন্য উদাহরণ। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের অনুষ্ঠানে গোটা বিশ্ব যা দেখছে তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবনারই প্রতিচ্ছবি।" একই সঙ্গে যোগী বলেন, "এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজকের প্রজন্ম হাজার হাজার বছর পুরানো ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারছে। এবং প্রবীণ প্রজন্ম আগামী প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দিচ্ছে। ভারতের আধ্যাত্মিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই আয়োজন এক বিশাল উদ্যোগ। কুম্ভের যে ছবি বিশ্ব দেখছে তা সনাতন ধর্মের এক মহৎ রূপ। কোটি কোটি সাধারণ মানুষ ও সন্ন্যাসীরা মা গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিচ্ছেন।"
সম্প্রতি নিজের মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে যোগী বলেন, "যমুনা ও গঙ্গার সঙ্গমস্থলে আমরা ডুব দিয়েছিলাম। শোনা যায় মা সরস্বতীও এখানে উপস্থিত হন। যার জন্যই লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই সঙ্গমে ডুব দেন। এমন পবিত্র সঙ্গমে ডুব দেওয়ার সৌভাগ্য ভাষায় ব্যাখ্যা করা যায় না।" উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "এই মহাকুম্ভ আয়োজনের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ তথা গোটা দেশের কাছে যে ঐক্যের বার্তা আমরা পৌঁছে দিতে পেরেছি তার জন্য গর্বিত।"
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ থেকে শুরু হওয়া মহাকুম্ভ চলবে সেই শিবরাত্রি অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রথম অমৃত স্নান হওয়ার পর, ফের অমৃতস্নানের যোগ রয়েছে চলতি মাসের ২৯ তারিখ মৌনি অমাবস্যা, ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখে বসন্ত পঞ্চমী, ১২ তারিখ মাঘী পূর্ণিমা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রির দিনে।