সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) শিক্ষাগত যোগ্যতার ডিগ্রি প্রকাশ নিয়ে আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল গুজরাট হাইকোর্ট। জানিয়ে দিল, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশের কোনও প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর এই নির্দেশ দেয় আদালত। প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ করার দাবিতে মামলা করায় কেজরিওয়ালের ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তাঁর ডিগ্রির প্রমাণ চেয়ে জাতীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। কেজরির আবেদনের ভিত্তিতে চিফ ইনফরমেশন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারকে মোদির ডিগ্রি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল। একই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গুজরাট ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারদেরও। গুজরাট হাই কোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের সিঙ্গল বেঞ্চ এদিন খারিজ করে দেয় অর্ডার।
[আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন বিমানহানায় মৃত ৯, এবার সম্মুখ সমরে ইরান-আমেরিকা?]
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুসারে ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। মাস্টার্স করেছেন ১৯৮৩ সালে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার যুক্তি ছিল, একজন ডক্টরেট ও একজন শিক্ষাগত যোগ্যতাহীন ব্যক্তির মধ্যে গণতন্ত্রে কোনও বিভাজন করা হয় না। এই ক্ষেত্রে কোনও জনগণের স্বার্থও জড়িত নয়। উপরন্তু এতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘সব ভুলে এগিয়ে চলো’, রাহুলের উপদেশে দ্বন্দ্ব ভুলেছেন শচীন]
জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার সঙ্গে তাঁর ডিগ্রির কোনও সম্পর্ক নেই। কারও শিশুসুলভ কৌতূহলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না। আরটিআইয়ের (RTI) ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থ ছাড়া কোনও কিছু জানতে চাওয়া অযৌক্তিক বলেও জানিয়েছিলেন তুষার মেহতা। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে আইনজীবী পার্সি ক্যাভিনা বলেন, ‘‘এই আবেদন মোটেই শিশুসুলভ কৌতূহল নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি সার্টিফিকেট দেখতে চেয়েছি। মার্কশিট নয়।’’