হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভ নগর: ১৪৪ বছরের মহাকুম্ভ যোগে প্রয়াগরাজে মেলা শুরু হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারি। এপর্যন্ত ৪০ কোটি পুণ্যার্থী ডুব দিয়েছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। আর সেই পুণ্যার্থীদের ভিড়ে কেবল ভারতীয়রাই নয়, গোটা বিশ্বের হিন্দুরাই যোগ দিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন পাকিস্তানের হিন্দুরাও। ৬৮ জন হিন্দু পুণ্যার্থীদের একটি দল প্রয়াগরাজে এসেছেন প্রতিবেশী দেশের সিন্ধুপ্রদেশ থেকে।
দলটির সঙ্গে এসেছে মহন্ত রামনাথ। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়াগরাজে আসার আগে তাঁরা হরিদ্বারেও গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা ৪৮০ জন পূর্বপুরুষের ভস্ম বিসর্জন দিয়েছেন। তারপর সেখান থেকে প্রয়াগরাজে পৌঁছে সঙ্গমে আস্থার ডুব দিয়েছেন। প্রার্থনা করেছেন পূর্বপুরুষদের আত্মার সদগতির জন্য। পাকিস্তানি হিন্দুদের দলটি জানাচ্ছে, সনাতন ধর্মের সঙ্গে তাদের শিকড়ের স্পর্শ অনুভব করে তারা। তাই এসেছে মহাকুম্ভে অংশ নিতে। ফেরার আগে সকলেই সঙ্গে নিয়েছেন সঙ্গমের পবিত্র জল। আর একথা জানাতে গিয়ে ওই পুণ্যার্থীরা জানাচ্ছেন, এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ইচ্ছেই মাত্র নয়। পূর্বপুরুষদের স্বপ্ন সত্যি করতেই তাঁদের কুম্ভের অংশ হওয়া।
ভারত সরকার ও যোগী সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ওই পুণ্যার্থীরা। জানিয়েছেন, মহাকুম্ভের আয়োজন দেখে তাঁরা মুগ্ধ। প্রশাসনের নিরলস প্রয়াস ও সফল পরিকল্পনাতেই এভাবে তা আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে বলে বিশ্বাস তাঁদের।
প্রসঙ্গত, প্রথম দিন থেকেই লক্ষ মানুষের ভিড় হচ্ছে মহাকুম্ভে। ইতিমধ্যে কোটি কোটি মানুষ মহাকুম্ভে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব সমাবেশ দিনের মতোই রাতেও জাগ্রত। গোটা মেলায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করেছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। ব্যবস্থা দেখে বিদেশি অতিথিরাও আপ্লুত। এর মধ্যেই অবশ্য ‘শাহি স্নানে’র সময় হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছিল। যদিও ধীরে ধীরে সেই দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে উঠছে প্রয়াগরাজ।
