সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোপনীয়তা ভঙ্গ নিয়ে ফের বড়সড় অভিযোগ। সংসদে পেশের আগেই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে বলে রবিবারের সর্বদল বৈঠকে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিলেন দলের সাংসদরা। এদিনের বৈঠকে তৃণমূলই সবচেয়ে সরব ছিল বলে সূত্রের খবর। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের (TMC MP) বিরুদ্ধে লোকসভার এথিক্স কমিটির রিপোর্ট স্পিকারের কাছে জমা পড়ার আগেই কীভাবে সেই রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে গেল? এই প্রশ্ন তোলেন ডেরেক ও ব্রায়েন ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও মহুয়াকে ডেকে এথিক্স কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি সর্বসমক্ষে প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিল। যা অত্যন্ত গোপনে হওয়া উচিত, তা কীভাবে অন্যদের সামনে আসছে, এই প্রশ্ন উঠেছিল। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগের দিন ফের একই অভিযোগ উঠল।
সোমবার থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে এটাই দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। আর তাতে সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সুর সপ্তমে চড়ানোর কৌশল নেয়। অধিবেশন যে উত্তপ্ত হতে চলেছে তার ইঙ্গিত মিলেছে সর্বদলীয় বৈঠকে। বৈঠকে সবচেয়ে বেশি সরব ছিল তৃণমূল। যথেষ্ট আলোচনা না করে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম — এই তিনটি বিল যাতে সংসদে পাশ করানো না হয়, সেই দাবি তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এছাড়া টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পদ খারিজ হবে কি না, সেই সিদ্ধান্তও হয়ে যেতে পারে এই অধিবেশনেই।
[আরও পড়ুন: ‘সবচেয়ে বড় অপয়া’, তিন রাজ্যে বিজেপি এগোতেই গেরুয়া নেতার খোঁচা রাহুলকে]
সূত্রের খবর, বৈঠকে মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গে বেশি সরব হয়েছে তৃণমূল। কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে লোকসভার এথিক্স কমিটির (Ethics Committee)রিপোর্ট স্পিকারের কাছে জমা পড়ার আগেই কীভাবে সেই তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে গেল, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। তৃণমূলের তরফে বৈঠকে বলা হয়েছে, তাঁরা সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন যে, ‘দলের এক সাংসদ’কে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব হল? ডেরেক-সুদীপরা এনিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সংসদে মহুয়া-বিতর্ক নিয়ে শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পরিকল্পনা আরও জোরদার করেছে তৃণমূল। এথিক্স কমিটির রিপোর্ট দেখে ভোটাভুটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলোচনা চাইবেন তৃণমূল সাংসদরা।