সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ কবে হরিয়ানায় এমন হয়েছিল বলা মুশকিল। বিক্ষোভের (Farmers Protest) জেরে কিনা খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হল কনভয়। বহু পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে থাকা সত্ত্বেও কৃষকদের নিরস্ত করতে ব্যর্থ হলেন তাঁরা। এই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল আম্বালায় পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার (Manohar Lal Khattar)। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রত্যাশিতভাবেই ছিল দীর্ঘ কনভয়। কিন্তু মাঝখানে রাস্তা আটকে দাঁড়ান বিক্ষোভকারী কৃষকরা। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই কৃষকরা মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে দাঁড়িয়ে কালো পতাকা দেখাচ্ছেন এবং সরকার বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। কৃষকদের অনেকের হাতে লাঠিও আছে। কিছু পুলিশকর্মী ও বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ওই এলাকা থেকে ফিরে যায়। সরাসরি উলটো পথে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের জেলা উন্নয়ন নিগমে বড় জয়ের পথে গুপকার জোট, শ্রীনগরে খাতা খুলল বিজেপি]
প্রসঙ্গত, হরিয়ানায় শাসক শিবিরের নেতামন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানোটা একেবারেই নতুন কিছু নয়। এর আগে আম্বালার সাংসদকেও এভাবেই কালো পতাকা দেখিয়েছিলেন কৃষকরা। খাট্টারকে ঘিরেও আগে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে, তবে সেটা এতটা তীব্র ছিল না। প্রসঙ্গত, দিল্লি-হরিয়ানা সিঙ্ঘু সীমান্তে নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় চার সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। কেন্দ্র সরকারের আনা নতুন কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় তাঁরা। সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে লিখিত আশ্বাস দিতে রাজি থাকলেও, তাতে বরফ গলছে না। গতকালও কৃষকরা কেন্দ্রের দেওয়া আলোচনার প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতে আসার কথা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। কৃষকরা তাঁর দপ্তরেও চিঠি লিখে তাঁকে ভারতে না আসতে অনুরোধ করেছেন।
[আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর অশান্তির ঘটনায় SDPI ও PFI-এর ১৭ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করল NIA]
এতদিন খাট্টার দাবি করছিলেন, এই বিক্ষোভ শুধু পাঞ্জাবের কৃষকদের। হরিয়ানার সামান্য সংখ্যক কৃষকই এতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু মঙ্গলবার যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট, কৃষক বিক্ষোভের এই আগুন হরিয়ানাতেও ভালমতোই ছড়িয়েছে।