shono
Advertisement
Supreme Court

মেয়েরা যুদ্ধবিমান ওড়াতে পারলে, সেনার আইনজীবী কেন নয়? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

মামলায় প্রশ্ন উঠল নারী-পুরুষ বৈষম্য নিয়ে।
Published By: Kishore GhoshPosted: 08:28 PM May 13, 2025Updated: 08:28 PM May 13, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষে ভারতীয় সেনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ব্যোমিকা সিং, সোফিয়া কুরেশির মতো নারীশক্তি। অথচ সেনার জাজ অ্যাডভোকেট জেনারেল (JAG) পদে মহিলাদের জন্য অল্প সংখ্যক আসন রাখা হয়েছে। একটি মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলল, মহিলারা যদি রাফালে যুদ্ধবিমানের পাইলট হতে পারেন তা হলে ভারতীয় সেনার আইনজীবী পদে নিয়োগ পাবেন না কেন?

Advertisement

ভারতীয় সেনার জাজ অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদে পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ৬টি আসন বরাদ্দ, সেখানে মহিলাদের জন্য মাত্র ৩টি আসন বরাদ্দ। এই কারণেই ওই পদে ভালো পরীক্ষা দিয়েও নিয়োগ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন আরশনুর কউর এবং আরেক মহিলা। পুরুষ ও মহিলাদের আসন সংখ্যায় বৈষম্যের অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন ওই দুই মহিলা। আরশনুর জানিয়েছেন, পরীক্ষায় চতুর্থ হয়েছেন তিনি। অন্য মহিলা পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন। তাঁরা পুরুষ প্রার্থীদের থেকে যোগ্যতার দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও নির্বাচিত হননি। বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন তাঁরা।

মামলা উঠেছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি মনমোহনের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে বিচারপতি মনমোহন বলেন, মহিলা প্রার্থীরা যদি যোগ্যতার দিক থেকে পুরুষদের তুলনায় এগিয়ে থাকেন, তাহলে প্রত্যেককেই অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা উচিত। বিচারপতিদের আরও পর্যবেক্ষণ, লিঙ্গ সাম্য মানে ৫০:৫০ অনুপাত নয়, লিঙ্গ সাম্যের অর্থাৎ মহিলা-পুরুষ আলাদা বলে বিবেচিত হবে না।

যদিও কেন্দ্র যুক্তি দেয়, মহিলা জেএজি অফিসারদের লড়াইয়ের ময়দানে পাঠালে শত্রুপক্ষের হাতে যুদ্ধবন্দি হতে পারেন তাঁরা। উভয় বিচারপতি এই যুক্তি খণ্ডন করে জানান, মহিলা অফিসার রাফালে যুদ্ধবিমান ওড়াতে পারলে এক্ষেত্রে অসুবিধা কোথায়? অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি পালটা যুক্তি দিলেও তা মানেনি শীর্ষ আদালত। তবে আপাতত মামলার রায় স্থগিত রেখেছেন দুই বিচারপতি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মামলা উঠেছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি মনমোহনের ডিভিশন বেঞ্চে।
  • যদিও কেন্দ্র যুক্তি দেয়, মহিলা জেএজি অফিসারদের লড়াইয়ের ময়দানে পাঠালে শত্রুপক্ষের হাতে যুদ্ধবন্দি হতে পারেন তাঁরা।
Advertisement