সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোটি কোটি টাকা, সোনা, বিদেশি গাড়ি এসব তো আছেই, একইসঙ্গে বাড়ির পুকুরে রয়েছে আস্ত তিনটি কুমির! মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় এমন দৃশ্য দেখে চোখ কপালে উঠল আয়কর দপ্তরের কর্তাদের। নিতান্ত শখের বশেই তিনি কুমির পুষেছিলেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আয়কর দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক হরবংশ সিং রাঠোর একজন বিড়ি ব্যবসায়ী। এই ব্যবসায় ১৫৫ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন কাউন্সিলর রাজেশ কেশরওয়ানির বিরুদ্ধে। যার জেরেই অভিযুক্ত দুজনের বাড়িতে গত রবিবার থেকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল আয়কর বিভাগ। এই তল্লাশি চলাকালীন প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি থেকে নগদ ৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। একইসঙ্গে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ সোনা-রুপোর গয়না। যার মূল্যও কয়েক কোটি টাকা। বেশ কয়েকটি বিদেশি গাড়িও পাওয়া যায়।
এতদূর পর্যন্ত তাও চেনা ছবিই ছিল, তবে বিধায়কের বাড়ির পিছন দিকে যেতেই চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের। দেখা যায়, বাড়ির পিছনে একটি ছোট পুকুরে রয়েছে বিশাল তিনটি কুমির। এই কুমির রহস্যের তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। খবর দেওয়া হয় বনবিভাগকেও। কোথা থেকে কুমিরগুলি আনা হয়েছে, এবং নিতান্ত শখের বশেই তিনি কুমির পুষেছিলেন, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, যে বিদেশি গাড়িগুলি উদ্ধার হয়েছে সবকটি গাড়িই বেনামি গাড়ি। এই গাড়ি রহস্যেরও তদন্ত শুরু করেছে পরিবহন বিভাগ।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বাসিন্দা বিড়ি ব্যবসায়ী হরবংশ সিং রাঠোর ২০১৩ সালে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হন। পাশাপাশি নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। এই ব্যবসায় তাঁর অন্যতম সহায়ক রাজেশ কেশরওয়ানি। হরবংশের বাবা হরনাম সিং রাঠোরও ছিলেন দাপুটে নেতা। মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী ছিলেন তিনি।