সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেই সফরের পরই শত্রুতাকে পিছনে ফেলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পন্ন হল বড় চুক্তি। আরও ৫ বছরের জন্য বাড়ানো হল ভারত-পাক কর্তারপুর করিডোর চুক্তির মেয়াদ। মঙ্গলবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে এই খবর প্রকাশ্যে আনেন বিদেশমন্ত্রী।
শিখ ধর্মাবলীদের জন্য অত্যন্ত প্রবিত্র তীর্থক্ষেত্র গুরুদ্বারা দরবার সাহিব কর্তারপুর বা কর্তারপুর গুরুদ্বার। শিখ ধর্মগুরু গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন এখানেই। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কর্তারপুর সাহিব পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে পড়ে। এর পর থেকে ভারতের শিখ সম্প্রদায়ের দাবি ছিল এই তীর্থক্ষেত্রে যাতে সহজে যেতে পারেন শিখ ধর্মাবলীরা, সরকার যেন তার ব্যবস্থা করে। সেইমতো ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে পাক সরকারের সঙ্গে কর্তারপুর করিডোর চুক্তি সম্পন্ন করে ভারত সরকার। যার মাধ্যমে ৪ কিমি রাস্তা পার করে ভারত থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুরে যেতে পারেন শিখ তীর্থযাত্রীরা। এর জন্য ভারতীয় শিখদের কোনওরকম ভিসা লাগে না। ২০১৯ সালে ৫ বছরের জন্য সম্পন্ন হওয়া সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী চলতি মাসেই মাসে। তবে তার আগেই বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের পাকিস্তান সফরের পর আরও ৫ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ল কর্তারপুর করিডোর চুক্তির।
মঙ্গলবার রাতে এই চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ্যে এনে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দেন বিদেশমন্ত্রী। জয়শংকর লেখেন, 'আগামী ৫ বছরের জন্য শ্রী কর্তারপুর সাহিব করিডরের চুক্তির মেয়াদ বাড়াল ভারত-পাকিস্তান। শিখদের পবিত্র ধর্মীয়স্থানে যাতে সহজে যাতায়াত করা যায় সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কাজ করে চলেছে।' তবে চুক্তি সম্পন্ন হলেও কর্তারপুর সাহিব দর্শনের জন্য পুণ্যার্থী পিছু ২০ ডলার করে ধার্য করে পাক সরকার। ইসলামাবাদ যাতে এই টাকা না নেয় তার জন্য সেখানকার সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে ভারতের তরফে।