সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের 'বন্ধু' তুরস্ককে কড়া বার্তা দিল ভারত। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, যেকোনও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরি হয় পরস্পরের সমস্যাগুলি উপলব্ধি করার মাধ্যমে। তাই ভারত আশা করে, সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করতে ইসলামাবাদকে বোঝাবে আঙ্কারা।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলা সামরিক সংঘাতে ‘গদ্দারি’ করেছে তুরস্ক। ভারতে হামলা চালাতে শুধু ড্রোন দিয়ে সাহায্য নয়, পাকিস্তানে সেনাও পাঠিয়েছিল তারা। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই দু’মুখো সাপ তুরস্কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠছে সর্বস্তরে। প্রশ্ন ওঠে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনার সংস্থা সেলেবি অ্যাভিয়েশনকে নিয়ে। সেদেশে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করতে থাকেন ভারতীয় পর্যটকরা। নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডিং হয় বয়কট তুরস্ক।
তবে পাকপ্রীতি নিয়ে এতদিন তুরস্ককে সরাসরি কোনও বার্তা দেয়নি ভারত। বৃহস্পতিবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার একমাস পূর্তি হয়েছে। এদিন সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে এসে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায় উঠে এল তুরস্কের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতার কথা। জয়সওয়াল বলেন, "আমরা আশা করি তুরস্ক অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে পাকিস্তানকে বোঝাবে যেন ইসলামাবাদ সীমান্ত সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করে। বছরের পর বছর ধরে তারা যেভাবে সন্ত্রাসকে লালন করেছে তা শেষ করার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে, ইসলামাবাদকে সেটা বোঝাক তুরস্ক।"
ভারতের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক নিয়ে রণধীর বলেন, "প্রত্যেকের স্পর্শকাতর বিষয় এবং উদ্বেগের বিষয়গুলি উপলব্ধি করার মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।" বিশ্লেষকদের মতে, এইভাবে আঙ্কারাকে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বার্তা দেওয়া হল। পাকিস্তানের মদতে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা সীমান্ত সন্ত্রাসের ফলে ভারতের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু সেই পাকিস্তানের 'বন্ধু' তুরস্ককেও এবার ভারত বুঝিয়ে দিল, পরিস্থিতি সেরকম হলে হয়তো আঙ্কারার সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কও তলানিতে যেতে পারে। তবে ভারত আশাবাদী, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য ইসলামাবাদকে বোঝাবে নয়াদিল্লি।
