সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘটা করে দেশের প্রায় সব বিরোধী দল একজোট হয়েছিল। দেশের সব প্রান্তের তথাকথিত বিজেপি বিরোধী নেতাদের নিয়ে গোটা চারেক বৈঠকও হয়েছে। একটা সময় মনে করা হচ্ছিল, ইন্ডিয়া (INDIA) জোট যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে চব্বিশের লড়াইয়ে বেশ ভালোরকম বেগ পাবে বিজেপি। কিন্তু লোকসভা ভোটের আড়াই-তিন মাস আগে সেই ইন্ডিয়া জোটই যেন ভাঙা হাট। আসনরফার প্রশ্নে জোট এমনভাবে বিগড়েছে তাতে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে এই জোটের অস্তিত্ব নিয়েই।
বিহারে ইন্ডিয়া জোটের আসনরফা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষবেলায় নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) শিবির বদলে ফেলায় সব অঙ্ক গুলিয়ে গিয়েছে। এখন নতুন করে রফা করতে হবে। প্রশ্ন হল, নীতীশহীন এই দুর্বল জোট নিয়ে বিজেপিকে আদৌ সেরাজ্যে চ্যালেঞ্জ করা যাবে তো? তাছাড়া যে নীতীশকে ইন্ডিয়ার অন্যতম কারিগর হিসাবে ধরা হচ্ছিল, তিনিই শিবির বদলে ফেলায় জোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। তবে ইন্ডিয়াকে ধাক্কা যে নীতীশ একা দিয়েছেন তাও নয়। কংগ্রেস (Congress), তৃণমূল, আপ বা সমাজবাদী পার্টি, কেউই সেভাবে নিজেদের স্বার্থের উপরে উঠে জোটের স্বার্থ ভাবতে পারেনি। ফলে রাজ্যে রাজ্যে জট তৈরি হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনেই CAA লাগুর পরিকল্পনা! কোন পথে হাঁটছে কেন্দ্র?]
আগেই কথা ছিল কেরলে কোনও জোট হবে না। ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যেও কংগ্রেস একা লড়বে। এখন দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের আসনরফা ভেস্তে যাওয়ায় বাংলাতেও পূর্ণরূপ পাচ্ছে না ইন্ডিয়া। একই ছবি আপ শাসিত পাঞ্জাবেও। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) সঙ্গে এখনও দড়ি টানাটানি চলছে কংগ্রেসের। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নিজে ইডির গুঁতোয় কার্যত কুপোকাত। তিনি ব্যস্ত সরকার বাঁচাতে। সব মিলিয়ে অধিকাংশ রাজ্যেই জোটে জট।
[আরও পডুন: আরএসএস নেতা খুনে পপুলার ফ্রন্টের ১৫ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিল কেরলের আদালত]
এসবের মধ্যে আশার আলো শুধু তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্র। তামিলনাড়ুতে ইন্ডিয়ার আসনরফা চূড়ান্ত। সেখানে ডিএমকে (DMK) লড়বে ২০ আসনে। কংগ্রেস লড়বে ৯ আসনে। ১০ আসন ছাড়া হবে বাম-সহ অন্য জোটসঙ্গীদের জন্য। মহারাষ্ট্রেও জোট চূড়ান্ত হবে বলেই দাবি ইন্ডিয়া শিবিরের। সব মিলিয়ে দু-একটা রাজ্য ছাড়া অধিকাংশ রাজ্যেই ইন্ডিয়া এখন অথৈ জলে।