সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে জি-২০ (G20) পর্যটক সম্মেলন আয়োজন করে ভারত প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে, সেখানকার পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক, যদিও বাস্তব অবস্থা একেবারেই তা নয়। ভারতের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছে রাষ্ট্রসংঘ। এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে নয়াদিল্লি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের পর এটাই আন্তর্জাতিক স্তরের সবথেকে বড় সম্মেলন হতে চলেছে কাশ্মীরে। আগামী ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। তবে কাশ্মীরে বৈঠক করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে বৈঠকে সম্ভবত অংশ নেবে না চিন এবং তুরস্ক। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ভারত কাশ্মীরেই সম্মেলন করতে চলেছে বলেই জটিলতা বেড়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের (UN) বিশেষজ্ঞ কানাডার অধ্যাপক ফার্নান্ড ডি ভারেনেস বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ভারত সরকার আন্তর্জাতিক অনুমোদনের জন্যই সেখানে জি-২০ বৈঠক করতে চাইছে। তাঁর দাবি, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়ে চলেছে। অন্যায় ধরপাকড়, রাজনৈতিক নিপীড়ন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন চাপা দিতে জি-২০কে দিয়ে তাদের অজান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষার যেসব বাধ্যবাধকতা আছে, জি-২০-র তা মেনে চলা উচিত। সম্মেলনে অংশ নিয়ে অবস্থা ধামাচাপা না দিয়ে ও উপেক্ষা না করে জি-২০-এর উচিত জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতির নিন্দা জানানো।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মতোই গণহত্যার চক্রান্ত! মণিপুরে আতঙ্কিত সংখ্যাগুরু হিন্দু মেতেইরা]
ভারেনেসের এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশন। মঙ্গলবার টুইট করে ভারতের তরফে বলা হয়েছে, এই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে ভারত বিস্মিত। অযথা তিনি বিষয়টিকে রাজনৈতিক রং দিতে চেয়েছেন। ভারেনেসের অভিমত ‘ভিত্তিহীন ও অবাঞ্ছিত’ জানিয়ে ভারত বলেছে, জি-২০-র সভাপতি হিসাবে দেশের যে কোনও স্থানে সম্মেলন করার অধিকার ভারতের আছে।