সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামরিক শক্তিতে ভারতের থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে চিন (China)। যুদ্ধের অন্যতম প্রধান অস্ত্র ট্যাংকের সংখ্যাও লালফৌজের কাছে অনেকটাই বেশি। তাই এবার কোনও ঝুঁকি না নিয়ে, ইজরায়েলের কাছ থেকে আরও স্পাইক অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল কিনতে চলেছে ভারত (India)।
[আরও পড়ুন: ১৩ বছরের আলোচনা শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অসামরিক পরমাণু চুক্তি ভারতের]
সেনা সূত্রে খবর, ইজরায়েলকে আরও ১২টি স্পাইক লঞ্চার এবং ২০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্রের বরাত দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। গত বছর বালাকোটে প্রত্যাঘাতের পর একই পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র এবং লঞ্চার জরুরি ভিত্তিতে কেনা হয়েছিল। সূত্রের খবর, গতবারের কেনা লঞ্চার এবং ক্ষেপণাস্ত্র পাক সীমান্তের কাছে মজুত করেছিল সেনাবাহিনী। এবার হয়তো চিনা ট্যাংক বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ঘাতক হাতিয়ার ব্যবহারের ভাবনা আছে ভারতীয় সেনার। কারণ, শান্তি ফেরাতে আলোচনা প্রক্রিয়া চললেও পূর্ব লাদাখে বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র মজুত করেছে লালফৌজ বলে খবর। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারও প্রস্তুতির জন্য সেনাবাহিনীকে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের ক্ষমতা দিয়েছে। সেই ক্ষমতা ব্যবহার করেই ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কেনার পরিকল্পনা করেছে সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ৩৩টি অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান কেনার বরাত দেয় কেন্দ্র। যার মধ্যে রাশিয়ার থেকে অনুমতি নিয়ে দেশেই ১২টি সুখোই যুদ্ধবিমান তৈরি করবে সরকারি বিমান নির্মাণকারী সংস্থা Hindustan Aeronautics Limited (HAL)। এই বিমানগুলিতে থাকবে ‘অত্যাধুনিক টার্গেটিং সিস্টেম ও ওয়ারফেয়ার স্যুট’। এই প্রকল্পে মোট খরচ হবে ১০ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, দেশেই তৈরি হবে প্রায় ৩০০টি ‘নির্ভয়’ ক্রুজ মিসাইল। প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। তবে নির্ভয় সম্পূর্ণ রূপে কার্যক্ষম হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। এছাড়া, সুখোই বিমানগুলির জন্য ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম ২৫০টি ‘অস্ত্র মার্ক-১’ এয়ার টু এয়ার মিসাইলও তৈরি করা হবে দেশেই।
[আরও পড়ুন: তথ্যচুরি রুখতে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, এবার আধাসেনাতেও নিষিদ্ধ ফেসবুক]
The post শক্তি বাড়াচ্ছে ফৌজ, ইজরায়েলের থেকে অত্যাধুনিক অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল কিনছে ভারত appeared first on Sangbad Pratidin.