সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো টিআরএফকে জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে আমেরিকা। 'বন্ধু' ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। শুক্রবার সকালে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফেব বিবৃতি জারি করে বলা হয়, সন্ত্রাসদমনে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের গভীর সহযোগিতা রয়েছে। সেটারই প্রতিফলন ঘটেছে এই সিদ্ধান্তে। মার্কিন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও।
২২ এপ্রিলের নরসংহারের পর দায় স্বীকার করে লস্করের ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট’। কিন্তু কয়েকঘন্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহারও করে নেয় টিআরএফ। তবে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর প্রথমে টিআরএফের তরফে দায় স্বীকার করা ও পরে তা অস্বীকার করার নেপথ্যেও পাকিস্তানের হাত দেখছেন তদন্তকারীরা। এবং পুরোটাই হয়েছে পরিকল্পিত ছকে। তারপরে পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে সেই প্রস্তাবে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন টিআরএফের নাম উল্লেখ করা হয়নি। পাকিস্তান এবং চিনের আপত্তিতেই নিন্দাপ্রস্তাবে টিআরএফের নাম রাখা হয়নি, এমনটাই ধারণা ছিল কূটনৈতিক মহলের।
তবে পাকিস্তানের শত প্রতিরোধ সত্ত্বেও এবার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় ঢুকে পড়ল টিআরএফ। মার্কিন বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে এফটিও এবং এসডিজিটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর এই ঘোষণার পরেই বিবৃতি দিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়, 'সন্ত্রাসদমন এবং জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার পক্ষে বারবার সওয়াল করেছে ভারত। টিআরএফকে জঙ্গি ঘোষণা করার বিষয়টিও সন্ত্রাসদমনে ভারত-আমেরিকার সহযোগিতার প্রতিফলন। সঠিক সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছে টিআরএফকে নিয়ে।'
মার্কিন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শংকর লেখেন, 'সন্ত্রাসবিরোধিতায় ভারত-আমেরিকা সহযোগিতার প্রমাণ মিলল। মার্কিন বিদেশ দপ্তর এবং বিদেশ সচিবের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।' আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাসও সাধুবাদ জানিয়েছে এই উদ্যোগকে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই উদ্যোগ যে পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা, সেকথা বলাই বাহুল্য।
