সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তিন বছর পর বিয়ের জন্য চাপ দিতেই বান্ধবীকে খুন করার অভিযোগ উঠল সেনা (Indian Army) আধিকারিকের বিরুদ্ধে। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) রমেন্দু উপাধ্যায় নামে এক লেফটেন্যান্ট কর্নেলকে (Lieutenant Colonel) ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে। জেরার মুখে নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। দেরাদুন (Dehradun) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনার কিনারা করেছে তারা।
মৃতার নাম শ্রেয়া শর্মা। নেপালের নাগরিক শ্রেয়া পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে থাকতেন তিনি। সেখানেই একটি ডান্স বারে রমেন্দুর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তারপর থেকেই প্রায় তিন বছর ধরে পরকীয়া জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বেশ কয়েকদিন আগে দেরাদুনে বদলি হয়ে যান রমেন্দু। তাঁর সঙ্গে শিলিগুড়ি ছেড়ে দেরাদুনে চলে আসেন শ্রেয়াও। একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে শ্রেয়ার থাকার ব্যবস্থা করেন অভিযুক্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল।
[আরও পড়ুন: ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়েও অধরা সমাধান, বিমান বিভ্রাটে এখনও দিল্লিতে আটকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী]
পুলিশ সূত্রে খবর, দেরাদুনে আসার পর থেকেই বিয়ে করার জন্য রমেন্দুকে চাপ দিচ্ছিলেন শ্রেয়া। কিন্তু রমেন্দু আগে থেকেই বিবাহিত। ফলে একাধিকবার দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তারপরেই শ্রেয়াকে খুনের ছক কষেন সেনা আধিকারিক। সেই মতো লং ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান শ্রেয়া।
গত শনিবার শ্রেয়াকে নিয়ে একটি নাইটক্লাবে গিয়েছিলেন রমেন্দু। সেখানে মদ্যপানের পর শুনশান একটি রাস্তায় গাড়ি নিয়ে পৌঁছন তাঁরা। সেখানেই মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মেরে শ্রেয়াকে খুন করেন সেনা আধিকারিক। পথের ধারে শ্রেয়ার মৃতদেহ ফেলে রেখে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরের দিন মৃতদেহ উদ্ধার তদন্তে নামে দেরাদুন পুলিশ। রমেন্দুকে আটক করে জেরার করতেই নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন তিনি।