সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনের সংঘর্ষের পর কেটে গিয়েছে ৩ বছরের বেশি সময়। কী ঘটেছিল সেই দিন? প্রকাশ্যে আসতে চলা স্মৃতিকথাতে তা নিয়েই কলম ধরেছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। সেখানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কিছু কথোপকথনের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। সূত্রের খবর, আপাতত সেনার আতশকাচের তলায় রয়েছে প্রাক্তন প্রধানের বই ‘ফোর স্টারস অফ ডেসটিনি’। সবুজ সংকেত না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনও অংশ প্রকাশ্যে আনতে বারণ করা হয়েছে প্রকাশককে।
পিটিআই সূত্রে খবর, সংঘর্ষের ঘটনাটি বেজিং যাতে ভুলে না যায়, সে ব্যাপারেও ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (rRajnath Singh) সঙ্গে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট রাতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পূর্ব লাদাখে সেই কথোপকথনের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে এই স্মৃতিকথায়। প্রাক্তন সেনাপ্রধান তাঁর স্মৃতিকথা ‘ফোর স্টারস অফ ডেসটিনি’-তে সেই রাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন তুলে ধরেছেন। পুরো মহড়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কোনও না কোনওভাবে জড়িত ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। স্মৃতিকথায় গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ এবং অগ্নিপথ পরিকল্পনা-সহ ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের বিশদ বিবরণ রয়েছে। সূত্রের খবর, আপাতত সেনার আতশকাচের তলায় রয়েছে প্রাক্তন প্রধানের বই ‘ফোর স্টারস অফ ডেসটিনি’। সবুজ সংকেত না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনও অংশ প্রকাশ্যে আনতে বারণ করা হয়েছে প্রকাশককে। আর এনিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কী এমন আছে ওই স্মৃতিকথায়? উঠছে প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: খারাপ মানের চিনা ইলেকট্রিক পণ্যের দিন শেষ! বেচলেই হবে জেল, জরিমানা]
প্রাক্তন সেনাপ্রধান তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে আগ্রাসন চালিয়েছিল চিনের (China) সেনা। ভারতীয় জওয়ানরা বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষের ফলে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছিল। নারাভানে লিখছেন, ‘উনি (রাজনাথ সিং) আমাকে বলেছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এবং জানিয়েছিলেন এটা সেনার সিদ্ধান্ত। বলেছিলেন, যা উচিত মনে করবেন, করুন। আমার হাতে একটা গরম আলু তুলে দেওয়া হয়েছিল। বুঝতে পারছিলাম সব সিদ্ধান্ত এবার আমার হাতে। জোরে একটা শ্বাস নিয়ে চুপ করে বসেছিলাম পরের কয়েক মিনিট।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকা এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায় ভারত ও চিনের সেনা। সেনা সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনার পরে খুব কম সময়ের মধ্যেই বিশাল সংখ্যক সেনাকে লাদাখ সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়। বায়ুসেনার পরিবহণ ব্যবস্থা ব্যবহার করেই দুর্গম এলাকাগুলোতে সেনা জওয়ান ও প্রচুর অস্ত্র পৌঁছনো হয়। সেই সঙ্গে মোতায়েন করা হয় বায়ুসেনার সু-৩০ এমকেআই ও জাগুয়ার যুদ্ধবিমান। সীমান্ত এলাকার যাবতীয় কার্যকলাপের দিকে কড়া নজরদারি চালাত এই দুই বিমান।
[আরও পড়ুন: নিলামে দাউদ ইব্রাহিমের পৈতৃক সম্পত্তি, ডনের রক্তচক্ষু সত্ত্বেও কত উঠল দাম?]