সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার রাতে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের (Fishermen) একটি দলের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল শ্রীলঙ্কার নৌসেনার (Lanka Navy) বিরুদ্ধে। তাদের হামলায় তামিলনাডুর (Tamil Nadu) রামেশ্বরমের এক মৎস্যজীবী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) নৌসেনার দাবি, ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওই দলটি তাদের দেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে মৎস্যজীবীদের দল। তাদের দাবি, তারা ভারতীয় জলসীমাতেই ছিল। তাদের আরও অভিযোগ, শ্রীলঙ্কা নৌসেনার ছোঁড়া পাথরে ছিঁড়ে গিয়েছে মাছ ধরার জাল।
এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিনিয়র এক আধিকারিক। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘সমস্ত মৎস্যজীবীই সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছেন। কেউ কোনও অভিযোগ জানাননি।’’
[আরও পড়ুন: পুলিশের থেকে ১২ লাখ টাকা ছিনিয়ে পালাল বিজেপি কর্মীরা! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তেলেঙ্গানায়]
ইতিহাস সাক্ষী, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মৎস্যজীবীরা দু’দেশের জলসীমা পেরিয়ে মাছ ধরতে যেত। তবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত নির্ধারিত হয়ে যাওয়ার পর বিশেষ করে এলটিটিই-র পরাজয়ের পর থেকেই শ্রীলঙ্কা সরকার তাদের জলসীমায় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। একসময় তামিলনাডুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা শ্রীলঙ্কাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, একটি চুক্তির বিষয়ে। যার দ্বারা তামিলনাডুর মৎস্যজীবীরা আইনত ভাবেই শ্রীলঙ্কার জলসীমায় মাছ ধরতে যেতে পারত। ভারতীয় ভাগের জলপ্রান্তে মাছের সংখ্যা কম বলেই এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের প্রায় দু’ লক্ষ মৎস্যজীবীকে গ্রাসাচ্ছেদনের জন্য মাছ ধরার উপরেই নির্ভর করতে হয়। তাঁদের অন্য কোনও স্থায়ী বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা নেই। এদিকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে চিনের সম্পর্ক ক্রমেই ভালো হয়েছে বিগত কয়েক বছরে। চিন সেদেশে নানা বিনিয়োগ করেছে। ফলে কূটনৈতিক ভাবেই চাপ বেড়েছে ভারতের উপরে। আর ক্রমেই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে তামিলনাডুর মৎস্যজীবীদের সঙ্কট দূর করার বিষয়টি।