সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপর্যয়ের জেরে কেন্দ্রীর তদন্তের আওতায় ইন্ডিগো। দেশবাসীর বিশ্বাস খোয়ানোর মাশুল গুনতে হল দেশের সবচেয়ে বড় বিমান পরিবহণ সংস্থাকে। সোমবার বাজার খোলার পর এক ধাক্কায় প্রায় ৯ শতাংশ পড়ে গিয়েছে ইন্ডিগোর শেয়ারের দাম। একদিনে এত পরিমাণ পতন বেনজির বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
রিপোর্ট বলছে চলতি মাসের শুরুতে ইন্ডিগোর শেয়ারের দাম ছিল ৫,৮৩৭ টাকা। তবে দেশব্যাপী ইন্ডিগোর উড়ান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার পর বর্তমানে পরিস্থিতি অত্যন্ত বেহাল। সোমবারের বাজার রিপোর্ট বলছে, এদিন বাজার খোলার পর থেকেই হুড়মুড়িয়ে নামতে শুরু করে সংস্থার শেয়ারের দাম। দিনের শেষে ৪৪৭ টাকা কমে শেয়ারের দাম নেমে এসেছে ৪,৯২৩ টাকায়, শতাংশের হিসেবে ইন্ডিগোর শেয়ার পড়েছে ৮.৩২ শতাংশ। শুধু তাই নয় রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ১৫ শতাংশ পড়েছে ইন্ডিগোর শেয়ারের দাম। পরিস্থিতি ক্রমশ যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে আগামী দিনে এই সংস্থায় আরও বড় ধস নামতে নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, গত ৬ দিন ধরে গোটা জুড়ে বেহাল ইন্ডিগোর পরিষেবা। এই কয়েকদিনে বাতিল হয়েছে সংস্থার কয়েক হাজার উড়ান। বিমানসংস্থার অভ্যন্তরীণ সংকটে ভুক্তভোগী হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন অসামরিক বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা (ডিজিসিএ) নোটিস পাঠিয়েছে বিমান সংস্থার সিইও পিটার এলবার্সকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলবার্সের কাছে জবাব তলব করেছে ডিজিসিএ। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পাইলটদের পর্যাপ্ত ছুটির বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছিল কেন্দ্র। ছুটি সংক্রান্ত নয়া নিয়ম লাগু হওয়ায় কর্মী সংকটেই বেহাল অবস্থায় পড়ে ইন্ডিগোর। নয়া নিয়ম লাগুর বিষয়ে বহু আগে থেকে সংস্থাকে জানানো সত্ত্বেও পদক্ষেপ না করা ইন্ডিগোকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্র।
সোমবার সংসদে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডু বলেন, “আমরা পাইলট, বিমানকর্মী এবং যাত্রীদের দেখভাল করে থাকি। এই বিষয়ে সমস্ত বিমান সংস্থাকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। ইন্ডিগোর উচিত ছিল ব্যবস্থাপনা সঠিক রাখা। যাত্রীরা ভয়ংকর সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। আমরা এই পরিস্থিতিকে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছি না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি বিমান সংস্থার জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করব। যদি নির্দেশিকা অমান্য হয়, তবে ব্যবস্থা নেব।”
