সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে প্রথম ভাষণে সকলকে মুগ্ধ করেছেন ওয়ানড়ের সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শাসক-বিরোধী দুপক্ষকেই শুক্রবার দেখা গিয়েছে চুপ করে বসে মন দিয়ে তাঁর কথা শুনতে। প্রিয়াঙ্কার দৃপ্ত ভাষণের নানা প্রসঙ্গই উঠে আসছে আলোচনায়। সবচেয়ে বেশি যে উক্তিটি নিয়ে আলোচনা চলছে, তা হল ''এটা সংবিধান, সংঘের বিধান নয়।'' প্রিয়াঙ্কার দাবি, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে আসন হারিয়ে বিজেপি বুঝতে পেরেছে সংবিধান বদলানো যায় না।
ভারতীয় সংবিধান সংসদে গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন লোকসভায় বিশেষ অধিবেশন ছিল। সেখানেই সাংসদ হিসাবে প্রথমবার বক্তব্য রাখেন প্রিয়াঙ্কা। গৌতম আদানি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতিসক্রিয়তা থেকে শুরু করে নির্বাচনী প্রচারে সংবিধান বদলের ‘হুমকি’-সমস্ত ইস্যুতেই মোদি সরকারকে তুলোধনা করেছেন তিনি। সাংসদ হিসাবে লোকসভায় প্রথম ভাষণ দিতে গিয়ে ২০১৭ সালের উন্নাও ধর্ষণ এবং ২০২০ সালের হাথরসের গণধর্ষণের কথাও বলেন তিনি। বিজেপিকে তোপ দেগে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “গত ১০ বছরে সংবিধানের রক্ষাকবচ দুর্বল হয়েছে। যদি এবারের নির্বাচনে এনডিএ আরও বেশি আসন পেত তাহলে নিশ্চই বদলে দিত ভারতের সংবিধান।”
আর সেই সঙ্গেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''আমাদের সংবিধান আমাদের জন্য একতার বর্মবিশেষ। প্রধানমন্ত্রী সংবিধান মাথায় ঠেকান। কিন্তু মণিপুর বা সম্ভল থেকে ন্যায়ের ডাক এলে তাঁর কপালে ভাঁজটুকুও পড়ে না। তিনি হয়তো কোনওদিনই বুঝতে পারবে না যে ভারতের সংবিধান সংঘের বিধান (আরএসএসের বিধান) নয়। ভারতের সংবিধান আমাদের একতা ও ভ্রাতৃত্বের বোধ দিয়েছে।''
দৃপ্ত কণ্ঠে প্রিয়াঙ্কার ভাষণে এদিন মুগ্ধ শাসক-বিরোধী দুপক্ষই। ভাষণ চলাকালীন একাধিকবার প্রিয়াঙ্কার মন্তব্যের বিরোধিতা করে সুর চড়ান এনডিএ সাংসদরা। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই চুপ করে বসে মন দিয়ে তাঁরা প্রিয়াঙ্কার কথা শোনেন। রাজ্যসভার সাংসদ হলেও এদিন মেয়ের ভাষণ শুনতে লোকসভার গ্যালারিতে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া।