সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি সংঘ পরিবারের দীর্ঘদিনের সক্রিয় সদস্য। তাই দেশের শীর্ষ পদে তাঁর আরোহণ মানেই সংঘের জয়। তারই উদযাপন হল সংসদে। রামনাথ কোবিন্দ শপথ নেওয়ার পরই তাই সংসদে উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনি।
সংসদে শ্রীরাম ধ্বনি ওঠা এই অবশ্য প্রথমবার নয়। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন বিজেপির কাছে ছিল অ্যাসিড টেস্ট। খোদ নরেন্দ্র মোদি থেকে দলের সেনাপতি অমিত শাহ উঠেপড়ে লেগেছিলেন দলের জয়ের জন্য। উত্তরপ্রদেশের মতো বহু বৈচিত্রের দেশে জয় সহজসাধ্য ছিল না। বিশেষ করে সপা ও কংগ্রেস যেখানে জোট বেঁধেছিল, সেখানে লড়াইটা আরও শক্ত ছিল। কিন্তু শেষমেশ তা সম্ভব হয়েছিল। সমস্ত জল্পনার শেষে বিপুল জয় পেয়েছিল বিজেপি। আর তারপরই সংসদে যখন পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী তখন উঠেছিল জয় শ্রীরাম ধ্বনি।
[ রাইসিনায় রামনাথ কোবিন্দ, শপথে অখণ্ডতার বার্তা ]
আটের দশক থেকেই রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সূত্রপাত। তখন থেকে এই স্লোগানেরও শুরু। সে সময়ও জাতীয় রাজনীতির মূলস্রোতে তেমন গুরুত্ব ছিল না বিজেপির। পরবর্তীকালে অবশ্য এই আন্দোলনই জাতীয় রাজনীতিতে শক্ত জমি দিয়েছে বিজেপিকে। তাই এই স্লোগান নেতা মন্ত্রীদের কাছে বেশ শ্লাঘার বিষয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের গোড়া থেকেই হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। কোবিন্দকে পদপ্রার্থী করে আসলে হিন্দুত্বের তাসই খেলেছিলেন বলে স্বয়ং মোদির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন কেউ কেউ। বাস্তবে দেখা গেল সে ছবিই। কোবিন্দের শপথের সময় এ জয়কে হিন্দুত্বের জয়ের স্বীকৃতিই দিয়ে দিলেন বিজেপি সাংসদরা। উঠল সম্মিলিত জয় শ্রীরাম ধ্বনি।
যদিও আজ প্রথম ভাষণেই কোবিন্দ বৈচিত্র ও একতার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু শ্রীরামের নামে স্লোগান শুনে অবশ্য মুচকি হেসেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, তাহলে অভিযোগ তো ভুল ছিল না। রাষ্ট্রপতির জয় আর হিন্দুত্বের জয় যে সমার্থক তা তো প্রমাণই করে দিলেন বিজেপি সাংসদরা।
The post কোবিন্দ শপথ নিতেই সংসদে উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি appeared first on Sangbad Pratidin.