সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান ঝাড়খণ্ড পুলিশের। শনিবার ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হল চার জনকে। এই তালিকায় রয়েছেন এক মহিলাও। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তরা হিজবুত তাহরির, আলকায়েদা ও আইএসআইএস-এর মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। সন্দেহভাজন অপরাধীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট শাখা বা এটিএস।
এটিএস সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া চার সন্দেহভাজন জঙ্গির নাম গুলফাম হাসান, অয়ন জাভেদ, শাহজাদ আলম ও শবনম পারভিন। শনিবার নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে ধানবাদের একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় এটিএস। সেই অভিযানেই অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২টি পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলি, একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের একাধিক নিষিদ্ধ বই। অভিযুক্তরা হিজবুত তাহরি-সহ আন্তর্জাতিক ভাবে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস, আল কায়েদার সঙ্গে সরাসরি যোগ সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ১০ অক্টোবর ইউএপিএ ধারায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল এই সংগঠনকে। তদন্তকারীদের দাবি, এই সন্দেহভাজন জঙ্গিরা এখানে স্লিপার সেল তৈরি করেছিল। যার মাধ্যমে অন্যান্য যুবকদের উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত করত অভিযুক্তরা। দেশবিরোধী কার্যকলাপের পাশাপাশি অস্ত্র কারবারও চালাত এই সন্দেহভাজন জঙ্গিরা।
পহেলগাঁওয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর দেশজুড়ে সন্ত্রাসবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন। গুজরাট, অসমের মতো রাজ্যগুলিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হচ্ছে পাকিস্তানপন্থীদের। শনিবার পর্যন্ত অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলিতে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে অসমে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮ জন। এই তালিকায় রয়েছেন এক বিধায়কও। জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে সমর্থন করে এক্স হ্যান্ডেলে উস্কানির অভিযোগেই গ্রেপ্তার করে হয়েছে বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এই ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এআইইইউডিএফ-এর বিধায়ক আমিনুল ইসলামকে। পাশাপাশি উস্কানির অভিযোগে গ্রেপ্তারের তালিকায় রয়েছেন, কলেজ পড়ুয়া, সাংবাদিক, আইনজীবীর মতো নানা পেশার মানুষ।
