বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতো গুরুদায়িত্ব। সেইসঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব সামলাতে হিমশিম অবস্থা জেপি নাড্ডার। তাই দ্রত সভাপতি নির্বাচন করে নতুন কাউকে দলের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানালেন তিনি। সোমবার বিজেপির সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে এমনটাই তিনি জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও বৈঠকে পাহেলগাঁও পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।
পহেলগাঁও পরবর্তীতে উত্তাল দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে বলে চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। সরকারের শরিকরাও সুর সপ্তমে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে ঘরে বাইরে চাপে গেরুয়া শিবির। পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রতিদিনই দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে, সাংগঠনিকভাবে এর মোকাবিলার কৌশল ঠিক করতে সোমবার সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করেন জেপি নাড্ডা। ছিলেন, বি এল সন্তোষ, অরুণ সিং, সুনীল বনশল, শিবপ্রকাশ শুক্লা, বিনোদ তাওড়ে, তরুণ চুঘ ও দুশমন্ত গৌতমরা।
গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতেই দলের পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নাড্ডা নিজের অসহায়তার কথা তুলে ধরেন। এই মুহূর্তে দল সরকারের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাঁকে সামলাতে হচ্ছে। একদিকে সর্বভারতীয় সভাপতি, অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ফলে কাজের মধ্যে ফাঁকফোকর থেকে যাচ্ছে। তাই দ্রুত সভাপতির দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান। সামনে বিহার নির্বাচন। তারপর বছর ঘুরলেই বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ু সহ ছ’টি রাজ্যে ভোট হবে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে বেশিরভাগেই বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা বেহাল। তাই দ্রুত নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করে তাঁর হাতে সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার আবেদন জানান বলে সুত্রের খবর।
সেই সঙ্গে বিহার নির্বাচনে দলের কৌশল ও বাংলার ভোট এবং রাজ্য সভাপতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বঙ্গের সভাপতির নাম ঠিক হয়ে গিয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই ঘোষণা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আর বিহার নির্বাচনে জেডিইউ'র পাশাপাশি লোক জনশক্তি পার্টি ও জিতনরাম মাঝির পার্টি হামের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। কিন্তু দল ক’টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করবে আজকের বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হয়। বাংলার নির্বাচনের ক্ষেত্রে অমিত শাহর উপর পুরো দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গিয়েছে।
