সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ সভাপতি পদে নতুন মুখ খুঁজছে কংগ্রেস (Congress)। লোকসভা নির্বাচনের আগেই কমল নাথের জায়গায় তরুণ কাউকে আনা হবে প্রদেশ সভাপতি পদে, খবর ছিল কংগ্রেস সূত্রে। ঘটল ঠিক তেমনটাই। পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনে ভরসা রাখল হাইকম্যান্ড। মধ্যপ্রদেশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হলেন জিতু পাটোয়ারি। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ওবিসি নেতাকে রাজ্য সভাপতি করে লোকসভা ভোটের আগে মধ্যপ্রদেশে নতুন করে শুরু করতে চাইছে কংগ্রেস।
গত বৃহস্পতিবার খবর রটেছিল, কমল নাথ (Kamal Nath) প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু পরে সেই খবর অস্বীকার করে কংগ্রেস। হাত শিবিরের তরফে দাবি করা হয়, কমল ইস্তফা দেননি। তখনই জানা গিয়েছিল, মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের পরিবর্ত বাছা শুরু করে দিয়েছে হাইকম্যান্ড। এবার কমলের বদলে তরুণ কোনও মুখকে প্রদেশ সভাপতির পদে আনা হবে। সেক্ষেত্রে ভেসে উঠেছিল জিতু পাটওয়ারি বা অরুণ সিংয়ের নাম। শেষ পর্যন্ত গোবলয়ের এই রাজ্য জয়ে জিতুতেই ভরসা রাখল কংগ্রেস।
মধ্যপ্রদেশের মতো ছত্তিশগড়েও হারের মুখ দেখলেও সেখানে প্রদেশ সভাপতি বদল করল না কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। দীপক বৈজই পদে থাকলেন। তবে ভূপেশ বাঘেলকে সরিয়ে বিধানসভার নেতা করা হল চরণদাস মহান্তকে।
[আরও পড়ুন: সংসদে হামলার প্রতিবাদ করায় নয়, অন্য কারণে সাসপেন্ড বিরোধী সাংসদরা, সাফাই বিড়লার]
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ২৩০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে মাত্র ৬৬টি আসনে। বিজেপি পেয়েছে ১৬৩টি আসন। এই ভরাডুবির পরেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে দেখা করেছিলেন কমল নাথ। দীর্ঘ ক্ষণ তাঁদের বৈঠক চলে। তখনই কমল নাথের ইস্তফার জল্পনা শুরু হয়। যা এদিন বাস্তবেই দেখা গেল। অন্যদিকে ছত্তিশগড় কংগ্রেস বিজেপির আসন সংখ্যার ব্যবধান দাঁড়ায় ৩৫-৫৪। প্রশ্ন হল, দলীয় পদে নতুন মুখ এনে কি লোকসভায় ভাগ্য বদলা হবে? রাম মন্দির ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে বিরোধীরা, উত্তর দেবে সময়।