সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজার টানাপোড়েনের পর অবশেষে কর্ণাটকে (Karnataka) পালাবদল। মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা (BS Yediyurappa)। ইস্তফাপত্রও দিয়ে দিলেন রাজ্যপালকে। সোমবারই কর্ণাটক সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ইস্তফার কথা জানিয়েছিলেন। পরে ইস্তফাপত্রও পাঠিয়ে দেন ইয়েদুরাপ্পা। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে লিঙ্গায়ত নেতা মুরুগেশ নিরানি। তবে তা নির্বাচিত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী (Caretaker CM) হিসেবে কাজ চালাবেন।
ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। তিনি ইস্তফা দেবেন নাকি কুর্সি আঁকড়ে থাকবেন, তা নিয়েই গত কয়েকদিন জোর আলোচনা চলছিল কর্ণাটকের রাজনৈতিক অন্দরে। গত ১৮ তারিখ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করেন ইয়েদুরাপ্পা। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় তাঁর। যদিও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তিনি রাজ্যের কয়েকটি প্রকল্প নিয়েই কথা বলতে দিল্লি এসেছেন। সেদিনও উড়িয়ে দিয়েছিলেন ইস্তফার গুঞ্জন। কিন্তু রবিবারই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাজ্যের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতেই তিনি ইস্তফা দিতে পারেন। সেইমতো সোমবারই তা চূড়ান্ত হল।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদ, ট্রাক্টর চালিয়ে সংসদে গেলেন রাহুল গান্ধী]
আসলে গত কয়েক মাস ধরেই কর্ণাটকের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন বিজেপি (BJP) নেতার সঙ্গে সম্পর্ক একেবারেই ভাল যাচ্ছিল না ইয়েদুরাপ্পার। আর সেই কারণেই তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চান বলে ক্রমশ জোরাল হচ্ছিল গুঞ্জন। সেসবের চাপেই তিনি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। ইয়েদুরাপ্পার ছেড়ে যাওয়া কুর্সিতে বসে কে কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন, তা ঘোষণার অপেক্ষা। এদিকে, এদিনই কর্ণাটকে গিয়েছে বিজেপির পর্যবেক্ষক দল। সম্ভবত নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে আলোচনা হবে।