shono
Advertisement

‘বেরিয়ে যান’, বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির চিৎকার শুনে কড়া ধমক প্রধান বিচারপতির

বার অ্যাসোসিয়েশনের জমি সংক্রান্ত মামলায় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়।
Posted: 06:34 PM Mar 02, 2023Updated: 06:37 PM Mar 02, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) উত্তেজিত বাক্য বিনিময় আইনজীবী বিকাশ সিং (Vikas Singh) এবং প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) মধ্যে। উল্লেখ্য, বিকাশ শীর্ষ আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তাঁর কথায় একটা সময় মেজাজ হারান প্রধান বিচারপতি। তুমুল ভর্ৎসনা করে আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানকে। জানিয়ে দেন, আদালতে কারও চোঙরাঙানির সামনে কখনও মাথানত করেননি। আগামী কার্যকালেও তা করবেন না।

Advertisement

প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, বৃহস্পতিবার একটি আবেদন তালিকাভুক্ত (Listing of a Petition) করা নিয়ে তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং সিনিয়র আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের মধ্যে। সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের জমি সংক্রান্ত মামালার শুনানির বিষয়ে আবেদন জানান বিকাশ। তিনি জানান, গত ছয় মাস ধরে আইনজীবীরা এই মামলার লিস্টিংয়ের জন্য লড়াই চালাচ্ছে। একথা শুনে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “আপনি এই ধরনের দাবি জানাতে পারেন না। এমন একটা দিনের কথা বলুন, যেদিন আমরা গোটা দিনটা বসে কাটিয়েছি?”

[আরও পড়ুন: ত্রিশঙ্কু মেঘালয়ে বৃহত্তম দল NPP, খাতা খুলল তৃণমূল]

বিকাশ বলেন, “আমি বলছি না আপনি গোটা দিন বসে থাকেন। আমি শুধু বলছি, বিষয়টিকে তালিকাভুক্ত করা হোক। যদি না করা হয়, তাহলে ধর্মাবতার আপনার বাড়ির দরজা পর্যন্ত যাব। বারের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে তা আমি চাই না।” এর পরেই মেজাজ হারান প্রধান বিচারপতি। চিৎকার করে বলেন, “প্রধান বিচারপতিকে হুমকি দেবেন না, এটা কী ধরনের আচরণ?” আরও বলেন, “আমি প্রধান বিচারপতি। ২০০০ সালের ২৯ মার্চ থেকে এখানে আছি। গত ২২ বছর ধরে এই পেশায় রয়েছি। বারের কোনও সদস্য, কোনও মামলাকারী কিংবা অন্য কাউকে ধমকানোর সুযোগ দিইনি কোনওদিন। আমার কেরিয়ারের শেষ দুই বছরেও সেটা হতে দেব না।”

এরপর হুঁশিয়ারির সুরে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনাকে একজন সাধারণ মামলাকারী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। অনুগ্রহ করে আমাকে এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না, যা আপনি চান না।” উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানকে গলার আওয়াজ নামিয়ে কথা বলতে বলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। উলটো দিকে বিকাশের উত্তর ছিল, ২০ বছর ধরে আইনজীবীরা অপেক্ষা করছেন। বার এখনও কিছু করেনি, তার মানে এই নয় যে বারকে ধরতব্যের মধ্যেই আনাই হবে না। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পরে সিনিয়ার আইজীবী কপিল সিব্বাল এবং এন কে কাউল বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ক্ষমা চান প্রধান বিচারপতির কাছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement