সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ বছরের নাবালিকাকে দিনের পর দিন যৌন নিগ্রহ ২৩ বছরের যুবতীর! সোনার কঙ্কণের সূত্র ধরে অবশেষে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে কেরলের কন্নুর জেলায়। গত শুক্রবার অভিযুক্ত মহিলা স্নেহা মার্লিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পকসো আইনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের তরফে জানা গিয়েছে, স্কুলে ওই বালিকার ব্যাগের ভিতরে ফোন পেয়েছিলেন স্কুলের এক শিক্ষিকা। সেই ফোন খতিয়ে দেখার পর ফোনের অস্বাভাবিক কিছু জিনিস নজরে পড়ে শিক্ষিকার। পড়ুয়ার পরিবারকে বিষয়টি জানাতে তার বাবা-মাকে স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানেই শিক্ষিকা তাঁদের পরামর্শ দেন তাঁরা যেন ওই নাবালিকাকে শিশু বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যান। সেখানে কাউন্সেলিং চলাকালীন ওই নির্যাতিতা জানায়, ২৩ বছরের স্নেহা মার্লিন তাঁকে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন করেছেন। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর শিশু বিশেষজ্ঞদের তরফেই পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়। এর পরই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত মহিলাকে।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, শিশু নির্যাতনে অভিযুক্ত মহিলা স্নেহা কন্নুর জেলার তালিপরম্বার পুলিমপরম্বার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে ১২ বছর বয়সি ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে গিয়েছে সে। এমনকি এই ঘটনার কথা যাতে ওই নাবালিকা বাড়িতে না জানায়, তার জন্য দামি দামি উপহার দিত অভিযুক্ত। ওই মোবাইল তো বটেই সোনার কঙ্কণ-সহ আরও নানা বহুমূল্য জিনিস উপহার দেওয়া হয়েছিল ওই নির্যাতিতাকে। অভিযুক্ত স্নেহাকে হেজাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
