সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের (Kerala) সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের মামলায় (Nun Rape Case) অভিযুক্ত বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কাল (Franco Mulakkal) বেকসুর খালাস পেলেন শুক্রবার। কোট্টায়ামের অতিরিক্ত দায়রা আদালত (Kottayam Additional Sessions Court) বিশপ ফ্রাঙ্কোকে নির্দোষ ঘোষণা করল। আদালতের রায় শোনার পর ফ্রাঙ্কো বললেন, ‘মহান ঈশ্বরের কৃপা’।
২০১৮ সালে কেরলের এক সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের অভিযোগ আনেন বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কালের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০১৪ থেকে ২০১৬-এর মধ্যে ১৩ বার তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন বিশপ। প্রথম ঘটনা ২০১৪ সালের ৫ মে-র। ওই দিন বিশপ ফ্রাঙ্কো বিশেষ কাজে কুরাভিলাঙ্গার কনভেন্টে (Kuravilangad Convent) এসেছিলেন। সেদিন রাতে ওই সন্ন্যাসিনীকে নিজের ঘরে ডাকেন তিনি। এরপরই নাকি সন্ন্যাসিনীর উপর যৌন নির্যাতন চালান।
[আরও পড়ুন: সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ কাণ্ডে সাক্ষীর মৃত্যুর জন্য দায়ী বিশপ, বিস্ফোরক ফাদারের পরিবার]
যদিও বিশপ ফ্রাঙ্কো প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিলেন, সমস্ত অভিযোগই “ভিত্তিহীন ও বানানো”। ঘটনা রাজনৈতিক রংও পায়। বহু সন্ন্যাসিনী, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতা বিশপের গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। এরপর ২০১৮ সালে বিশপ ফ্রাঙ্কোকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বরে নিজের পদ থেকে সরেও দাঁড়ান বিশপ। তবে এদিন কোট্টায়াম অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারকরা অন্য কথাই বললেন। সন্ন্যাসিনীর অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। সেই কারণেই নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কালকে।
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে কেরলের বিশপ, সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের পর মাদারকে হুমকির অভিযোগ]
উল্লেখ্য, এই ঘটনার বিচার চেয়ে ভ্যাটিকানের (Vatican) হস্তক্ষেপও দাবি করেছিলেন বিশপের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা কেরলের ওই সন্ন্যাসিনী। মামলা চলাকালীন তিনি আরও দাবি করেছিলেন, বিশপ মুলাক্কাল তাঁর “রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা” ব্যবহার করে মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, ফ্র্যাঙ্কো মুলাক্কালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন ফাদার কুরিয়াকোসে কাট্টুথারা৷ বিশপ চার্চের অধিকাংশ সন্ন্যাসিনীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতেন বলেও অভিযোগ করেন ফাদার৷ বিশপের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন তিনি৷ এদিকে মাঝে বিশপ ফ্রাঙ্কো জামিনে মুক্তি পাওয়ার দিনকয়েক পরই অস্বাভাবিকভাবে মারা যান ওই ফাদার৷ ধর্ষণের মামলায় প্রধান সাক্ষীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে দানা বাঁধে রহস্য৷ ফাদারের পরিবার দাবি করেছিল, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বিশপ মানসিক চাপ দিতেন ফাদারকে৷ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হত বলেও অভিযোগ৷