সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার সকালে কেরলের (Kerala) এর্নাকুলমে প্রার্থনা চলাকালীন ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আহত বহু। ওই ঘটনায় নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। ঘটনার তদন্তে নেমেছে এনআইএ (NIA)। এর মধ্যেই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করলেন ৪৮ বছরের এক ব্যক্তি। আত্মসমর্পণের আগে একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করেন তিনি। সেখানেই হামলার কারণ জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার সকালে কেরলের এর্নাকুলম শহরের কালামাসেরি এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রার্থনা চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটে। যার ফলে মৃত্যু হয়ে দুজনের। জখম হয়েছেন ৫০ জন। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। কেরল পুলিশের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যেই আত্মসমর্পণ করলেন এক সন্দেহভাজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নাম ডমিনিক মার্টিন। তিনি দাবি করেছেন, যে সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল, সেই ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়েরই মানুষ তিনি।
মার্টিন আত্মসমর্পণের আগে একটি ভিডিও আপলোড করেন সোশাল মিডিয়ায়। ওই ভিডিওতে তিনি জানান, ক্যাথেলিক জেহোভা সম্প্রদায়ের খ্রিস্টানদের আচারের বিরোধিতা করতেই হামলা চালিয়েছেন তিনি। এই সম্প্রদায়ের কার্যকলাপ বন্ধ করে দিতে চান। তাঁর আরও বক্তব্য, জেহোভাদের নীতি ও ধারণাগুলি দেশের জন্য ক্ষতিকর। তরুণ প্রজন্মের মনকে বিষিয়ে তুলছে এরা।
[আরও পড়ুন: পরপুরুষে মজে স্ত্রী! সন্দেহের বশে অ্যাসিড হামলা স্বামীর, আক্রান্ত মেয়ে ও একরত্তি নাতিও]
উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের সময় কনভেনশন সেন্টারে ২ হাজার লোক ছিল। তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরক রাখা ছিল একটি টিফিন কৌটোতে। পুলিশের দাবি, আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে আহতদের চিকিৎসার কথা মাথায় রেখে রাজ্যের চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করেছে কেরল সরকার। সংবাদমাধ্যমগুলির সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৪৫। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। একাধিক হাসপাতলে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
[আরও পড়ুন: নিখোঁজ ছেলেকে উদ্ধারে সাহায্য BJP বিধায়কের, ‘কৃতজ্ঞতা’য় দলবদল TMC পঞ্চায়েত সদস্যের]
এদিকে বিস্ফোরণে ঘটনা রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে তোপ দেগেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর দাবি, হামাসের বিরোধিতা করেছিল ক্যাথলিক খ্রিস্টান চার্চ। সেই কারণেই তাদের উপর হামলা হয়েছে। যদিও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী হামাসের হামলা কীভাবে রুখে দিচ্ছে ইজরায়েল, তা নিয়ে বেশি চিন্তিত।