সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'কংগ্রেস পাকিস্তানের সমর্থক। এদের লস্কর ই পাকিস্তান বললেও ভুল বলা হবে না'। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর সোশাল মিডিয়ায় মোদিকে কটাক্ষের পালটা এই ভাষাতেই বিরোধী দল কংগ্রেসকে একহাত নিল বিজেপি।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে অনুপস্থিতিকে আক্রমণ শানাতে সোশাল মিডিয়ায় একটি মোদির মুণ্ডহীন একটি ছবি শেয়ার করে কংগ্রেস। যার মাথাতে লেখা 'গায়েব' অর্থাৎ নিখোঁজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, 'দায়িত্বের সময় অদৃশ্য'। কংগ্রেসের এই পোস্টারকে হাতিয়ার করে পাকিস্তান। প্রাক্তন পাক মন্ত্রী ফাওয়াদ আহমেদ হুসেন চৌধুরী এই পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, 'গাধার মাথা থেকে শিং হারিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছিলাম। এখানে মোদি নিজেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। দুষ্টু কংগ্রেস।' এক্স হ্যান্ডেলে এমন পোস্ট নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই পালটা কংগ্রেসকে একহাত নেয় বিজেপি।
কংগ্রেসের পোস্টার শেয়ার প্রাক্তন পাক মন্ত্রীর।
মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেসের ওই সোশাল মিডিয়া পোস্ট তুলে ধরেন বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া। এবং তোপ দেগে বলেন, 'কংগ্রেস পাকিস্তানের সমর্থক'। তিনি বলেন, "আমাদের দেশে একটি রাজনৈতিক দল রয়েছে, তাদের যদি আমরা লস্কর ই পাকিস্তান কংগ্রেস বলি তবে ভুল বলা হবে না। কংগ্রেস সোশাল মিডিয়ায় মোদির যে ছবি শেয়ার করেছে তাতে পাকিস্তানকে জোরালো বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, ওদের (পাকিস্তান) সমর্থক মিরজাফররা এখানে রয়েছে। 'সর তান সে জুদা' (শরীর থেকে মাথা আলাদা) আজ লস্কর ই পাকিস্তান কংগ্রেসের আদর্শে পরিণত হয়েছে। রাহুল গান্ধীর নির্দেশে এই পোস্ট করা হয়েছে। এই পোস্ট দেশবাসীর জন্য লজ্জার। এই কঠিন সময়ে ভারতকে দুর্বল করার জন্য লস্কর ই পাকিস্তান কংগ্রেসের এক ঘৃণ্য প্রচেষ্টা।"
পোস্টারকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হতেই এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর সর্বদল বৈঠকে অনুপস্থিতি ও সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানিয়ে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী সর্বদল বৈঠকে কেন উপস্থিত ছিলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। আমরা ২২ এপ্রিল মোদির উপস্থিতিতে সর্বদল বৈঠকের দাবি জানিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর উচিত সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকে এই বিষয়ে আলোচনা করা এবং ঠিক কী হয়েছে তা জানানো। এখানে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। কংগ্রেসের একটাই নীতি তা হল, এই কঠিন সময়ে একজোট হওয়া।" উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এইন ইস্যুতে বিশেষ অধিবেশনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে।
