সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের ১৯টি ধর্মীয় শহরে মদ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করল মধ্যপ্রদেশ। শুধু তাই নয়, বিহারের মতো ধাপে ধাপে গোটা রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করা হবে বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নয়া নীতিতে সিলমোহর দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। যার ফলে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে রাজ্যের ১৯ শহরে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে মদ বিক্রি। এবং দোকান অন্য কোথাও খোলার অনুমতি দেওয়া হবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, যে ১৯টি শহরে মদ বাতিল করা হচ্ছে সেগুলি হল, দাতিয়া, পান্না, মন্ডলা, মুলতাই, মন্দসৌর, মাইহার, ওমকারেশ্বর, মহেশ্বর, মণ্ডলেশ্বর, ওরচা, চিত্রকূট, অমরকণ্টক, সলকানপুর, বর্মণ কালা, লিঙ্গা, কুন্ডলপুর, বন্দকপুর ও বর্মণখুর্দ। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যে ধর্মীয়স্থানগুলিতে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সকলেই জানেন মদ্যপায়ীরা জীবনে হাজার সমস্যায় জর্জরিত। তাঁদের পরিবারও বিপুল সমস্যার মুখে পড়েন। আমরা চাই না আমাদের যুবসমাজ নষ্ট হোক। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সুশাসনের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই পদক্ষেপ। মূলত কৃষ্ণ ও রামের পদচিহ্ন মধ্যপ্রদেশের যে সব জায়গায় পড়েছে সেখানে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে মদ।" পাশাপাশি আগামী দিনে ধাপে ধাপে গোটা রাজ্যে মদ বাতিল করা হবে বলেও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসার পর মুখ খুলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। তিনি বলেন, শুধু মদ কেন এই শহরগুলিতে জুয়া, সাট্টা ও স্ক্যাম-এর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। এই গোটা ঘটনাকে লোক দেখানো বলে কটাক্ষ করেন দিগ্বিজয়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিহার রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তবে বিরাট অঙ্কের আর্থিক ধাক্কা সামলে এই পদক্ষেপ নিতে পারেনি দেশের বাকি রাজ্যগুলি। কারণ দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই বার্ষিক আয়ের অন্যতম বড় উৎস এই মদ।
তবে মদ নিষেধ হলেও এর এক খারাপ প্রভাব ব্যাপকভাবে দেখা গিয়েছে বিহার রাজ্যে। মদের দোকান না থাকায় ব্যাপকভাবে বেড়েছে চোলাই মদের কারবার। যাকে বিষমদও বলা হয়ে থাকে। প্রতি বছর এই বিষমদের কারণে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান বিহারে। শত চেষ্টা করেও এই বিষমদের কারবারে লাগাম টানতে পারেননি নীতীশ কুমার।