সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিন্ন সম্প্রদায়ের যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বোন। যার জেরেই পরিবারের 'সম্মানরক্ষা'র নামে বোনকে খুনের অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বোনকে পাহাড়ের উপরে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখান থেকে ৫০০ ফুট নিচে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ বছর বয়সি ওই নাবালিকা শাহগড়ের বাসিন্দা। ভিন্ন সম্প্রদায়ের যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। এই প্রেমে তীব্র আপত্তি ছিল পরিবারের। তাকে যে খুন করা হতে পারে এমন আশঙ্কা করে শাহগড় থানায় গিয়ে নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছিল মেয়েটি। এর পর প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটাতে পরিবার ওই নাবালিকাকে সম্ভাজিনগরে তার কাকার বাড়িতে রেখে আসে। সেখানেও একপ্রস্ত বোঝানো হয় তাকে। তবে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় খুনের পরিকল্পনা করে তার বাড়ির লোক।
ঘটনার দিন ওই নাবালিকার দাদা তাকে এলাকারই এক পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। সেখানে যাওয়ার পর প্রায় ৫০০ ফুট উপর থেকে অতর্কিতে ধাক্কা দিকে ফেলে দেওয়া হয় মেয়েটিকে। ঘটনার সময় পাশের একটি মাঠে ক্রিকেট ম্যাচের ভিডিওগ্রাফি করছিল এক ড্রোন। তাতেই ধরা পড়ে এই হাড়হিম দৃশ্য। ভিডিও সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঋষিকেশ তানাজি নামে অভিযুক্ত দাদাকে। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকারও করেছে।
পুলিশের দাবি, ৮ দিন আগে তাদের বাড়িতে এসেছিল মেয়েটি। বারবার ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বোঝানো হলেও শোনেনি সে। যার জেরেই এই খুন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার পর এই ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। তবে ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন গোটা ঘটনার ভিডিও দেখে পুলিশে খবর দেয় কয়েকজন। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে।