সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরনে তোয়ালে আর গেঞ্জি! শিব সেনা বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ করলেন মহারাষ্ট্রের বিরোধীরা। কয়েকদিন আগেই ক্যান্টিনের এক কর্মীকে মারধর করে প্রবল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন শিব সেনার শিণ্ডে শিবিরের বিধায়ক। তাঁর কীর্তির প্রতিবাদ করতেই বুধবার অভিনব সাজে বিধানসভায় হাজির হলেন বিরোধী বিধায়করা।
বুধবার মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় দেখা যায়, মহা বিকাশ আঘাড়ির বিধায়কদের পরনে রয়েছে লুঙ্গি এবং গেঞ্জি। আসলে লাল রঙের তোয়ালেটাই লুঙ্গির মতো করে পরেছিলেন তাঁরা। বর্তমান সরকারকে 'গুণ্ডা-বানিয়ান গ্যাং' বলে কটাক্ষ করেন বিরোধী বিধায়করা। 'গুন্ডারাজে'র বিরুদ্ধে পোস্টারও তুলে ধরেন তাঁরা। বিধান পরিষদের বিরোধী দলনেতা অম্বাদাস দাঁভে বলেন, এমন গুন্ডাদেরকেও লাগাতার সমর্থন করে চলেছে সরকার। শিব সেনার উদ্ধব শিবিরের কথায়, অভিযুক্ত বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন শিণ্ডে সেনার বিধায়ক সঞ্জয় গায়কোয়াড়। আকাশবাণী এমএলএ ক্যান্টিনে একটি থালি অর্ডার করেন সঞ্জয়। কিন্তু খাবার তাঁর টেবিলে আসতেই তিনি আবিষ্কার করেন, ডাল থেকে পচা গন্ধ বেরচ্ছে। নিজের কোমরে একটি তোয়ালে জড়িয়ে এরপর তিনি সটান হাজির হন ক্যান্টিনে। জানতে চান, এই ডাল কে বানিয়েছে। পরে ক্যান্টিনের পরিচালককে ডেকে পাঠান। দু’জন মুখোমুখি হলে সঞ্জয় তাঁকে ডালটি শুঁকে দেখতে বলেন। তিনি মুখটা সামনে আনতেই ঠাসিয়ে চড় মারেন তাঁকে। এরপর আরও দু’টি চড় মারেন ওই বিধায়ক। এখানেই শেষ নয়। এরপর তিনি ঘুসিও মারেন। যার ধাক্কায় মাটিতে ছিটকে পড়েন ক্যান্টিনের পরিচালক।
গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল সমালোচনা শুরু হয় শিব সেনার বিধায়কের আচরণ ঘিরে। যদিও সঞ্জয়ের মতে, তাঁর এই পদক্ষেপের কারণেই বহু মানুষের খাবারের সমস্যার সমাধান হতে পারে। আগামী দিনে এমন পরিস্থিতিতে পড়লেও একই কাজ করবেন বলে জানান তিনি। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেই বিরোধীদের মত।
