সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মোবাইল চোর সন্দেহে নাবালকের উপর নারকীয় অত্যাচার! উলটো করে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছিল তাকে! সেই ঘটনায় অবশেষে জালে মহেশতলার কারখানার মালিক। মুম্বইয়ের কল্যাণ থেকে গ্রেপ্তার কারখানা মালিক শাহেনশা। ধৃত তার দুই শাগরেদও। ইতিপূর্বে আরও দুজনকে গ্রেপ্তা করা হয়েছিল। তারা আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। সবমিলিয়ে মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
দক্ষিণ কলকাতার সন্তোষপুরে মোবাইল চুরির ‘অপবাদে’ কিশোরের উপর নির্যাতন করা হয়। উলটো করে ঝুলিয়ে মার, শরীরে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। তারপর থেকে নিখোঁজ ওই নাবালক। সাতদিন ধরে তার হদিশ মিলছে না। এর মধ্যেই চম্পট দিয়েছিল কারখানার মালিক শাহেনশা ও তার দুই শাগরেদ। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের কল্যাণ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হল।
জানা গিয়েছে, ইসলামপুরের ওই কিশোর দাদার সঙ্গে দেড় মাস আগে সন্তোষপুরের ওই জিন্স ওয়াশ কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিল। নাবালককে কেন কাজে নেওয়া হয়েছিল, সেই প্রশ্নও উঠেছে। কারখানায় নারকীয় অত্যাচারের শিকার হয় ওই বছর ১৪-এর কিশোর। কারখানায় একটি মোবাইল ফোন চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ফোন ওই কিশোর চুরি করেছে বলে অপবাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর তারই শাস্তিস্বরূপ কিশোরের উপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়! ওই কিশোরের হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে উলটো করে ঝুলিয়ে এরপর ইলেকট্রিকের শক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের দাগও হয়ে গিয়েছে বলে খবর। সেই ঘটনার ভিডিও করা হয়েছিল। সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। ডায়মন্ড হারবার পুলিশের তরফে খবর, তদন্ত চলছিল। একটি টিম মুম্বইয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার।
