সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাট নির্বাচনের আগে বিজেপির হাতে একপ্রকার হাতিয়ারই তুলে দিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার। প্রধানমন্ত্রীকে ‘ছোটলোক’ বলে যে বিতর্কের সূত্রপাত তিনি করেছেন। তাতে অনেকটাই ব্যাকফুটে যেতে হয়েছে কংগ্রেসকে। ণিশঙ্করকে সাসপেন্ড করেও শেষরক্ষা হয়নি। বিজেপি এই সুযোগ হাতছাড়া করেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত আসরে নেমে পড়েছেন। শুক্রবার গুজরাটের এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে একহাত নেন মোদি। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পাকিস্তানে গিয়েছিলেন মণিশঙ্কর। সেখানে কি তাঁর সুপারি দিতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা? প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
[৫১টি অনাথ শিশুকে মানুষ করে নজির এই নিঃসন্তান দম্পতির]
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে গিয়ে এক সংবাদমাধ্যমের চ্যাট শোয়ে অংশ নিয়ে মণিশঙ্কর বলেছিলেন, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি করতে মোদিকে রাস্তা থেকে সরানো প্রয়োজন। জনসভায় মোদি জানতে চান, তাঁকে পথ থেকে সরানোর মানেটা কী? আর তাঁর অপরাধই বা কী? মানুষের আর্শীর্বাদ পাওয়াটাই কি অপরাধ?’ শুধু মণিশঙ্করই নন দিগ্বিজয় সিং, প্রমোদ তিওয়ারি, আনন্দ শর্মা, ইমরান মাসুদ, রেণুকা তিওয়ারির মতো নেতাদের প্রসঙ্গও তুলে আনেন মোদি। কেউ তাঁকে হিটলার বলেছেন, কেউ বলেছেন ভাইরাস।
[‘আদালত না বললেও অযোধ্যাতে রাম মন্দির হবেই’]
তাই এ আক্রমণ তাঁর কাছে নতুন নয় বলে জানান মোদি। এমননকী সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর পরিবারও নাকি এমনটাই বলে থাকেন বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। গরীব হয়ে জন্মেছেন বলেই কি তাঁকে ‘ছোটলোক’ বলা হল? প্রশ্ন তুললেন মোদি। তবে এমন আক্রমণে যে তাঁর কিছু এসে যায় না সে কথা জানাতেও ভোলেননি। কারণ তাঁর একমাত্র লক্ষ্য, দেশের সেবা করা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজছে। সে সময় মোদিকে ‘চাওয়ালা’ বলে বিদ্রুপ করেছিলেন তিনিই। যা পরে শাপে বর হয় বিজেপির। দলের তরফে প্রচার করা হয়, যদি একজন চাওয়ালা প্রধানমন্ত্রী হয়, তাতে আপত্তি কীসের? দেশের একটা বড় অংশ একবাক্যে তাতে সম্মতি জানিয়েছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা গুজরাট নির্বাচনের আগে বিজেপির হাতে তুরুপের তাস তুলে দিলেন সেই মণিশঙ্কর আইয়ারই। যদিও এই কংগ্রেসির এমন মন্তব্যর প্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে নেতৃত্ব। মণিশঙ্করকে কংগ্রেসের সদস্যপদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁকে শোকজ করা হয়েছে।বর্ষীয়ান নেতাকে মোদির কাছে ক্ষমা চাইতেও বলেছেন রাহুল। চাপে পড়ে আইয়ারও সাফাই দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে জাত পরিচয় তুলে তিনি কিছু বলেননি, তাঁর মানসিকতার সমালোচনা করাই ওই মন্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু গুজরাট নির্বাচনের আবহে ‘ছোটলোক’ মন্তব্যকে পুঁজি করেই যে তিনি এগোবেন শুক্রবার তা স্পষ্ট করে দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই।
[খুনের ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করে ১৪ বছরের কিশোর, আফরাজুল হত্যা কাণ্ডে নয়া তথ্য]
The post তাঁর সুপারি দিতেই কি পাকিস্তান গিয়েছিলেন মণিশঙ্কর? প্রশ্ন মোদির appeared first on Sangbad Pratidin.