সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরার পরেও শাস্তি! লোক জুটল না শেষকৃত্যে। ঝাড়খণ্ডের এক অশীতিপর বৃদ্ধাকে দাহকাজে না করে দিলেন তাঁর গ্রামের তথা সম্প্রদায়ের মানুষেরাই। যেহেতু পাঁচ দশক আগে সমাজের নিদান উড়িয়ে ভিনজাতের ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। ২০২৫ সালের ভারতে জাতি বিদ্বেষের এই মর্মান্তিক চিত্র দেখা গেল দেওঘর জেলার তিলেবেণী ব্লকের জারাইকেলা গ্রামে।
মঙ্গলবার বিকেলে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয় ৮০ বছরের বাসন্তী মহাকুদের। তাঁর শেষকৃত্য নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। বাসন্তীর সম্প্রদায়ের লোকেরা জানিয়ে দেন, তাঁরা দাহকাজ করবেন না। বৃদ্ধা সন্তানহীনা হওয়ায় দাহ করার মতো আর কেউ ছিলেন না। এই অবস্থায় বৃদ্ধার মৃতদেহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাসন্তী মহাকুদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে।
পাক্কা ৫০ বছর আগের কথা। ভিনজাতের ব্যক্তি লোকনাথ মহাকুদকে বিয়ে করেন বাসন্তী। এর পরেই নিজের সম্প্রদায়ের কোপে পড়েন তিনি। সরকারি গ্রামীণ আবাসন প্রকল্পের বাড়িতে থাকতেন তিনি। এক সময় সুখের সংসার থাকলেও বয়সের কারণে দু'জনের শরীরই ভেঙে পড়েছিল। বছর চারেক আগে মৃত্যু হয় স্বামী লোকনাথের, মঙ্গলবার বিকেলে প্রয়াত হন বাসন্তী। গ্রামেরই এক ব্যক্তি দুধ দিতে এসে দেখেন ঘরে বাসন্তীর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে।
এর পরে দেহকাজের প্রশ্ন উঠলে সমস্যা দেখা দেয়। এই অবস্থায় ব্যবস্থা নেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বলরাম গাদনায়ক। তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত অক্ষয় সাহুর কাছে সাহায্য চান। শেষ পর্যন্ত অক্ষয়ই লোক জোগাড় করে বাসন্তীর দাহকাজের ব্যবস্থা করেন।
