সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনিল আম্বানির ৫০টি সংস্থায় তল্লাশি চালাল ইডি। বৃহস্পতিবার দিল্লি এবং মুম্বইয়ের ৩৫টি জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অন্তত ২৫ জনকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের দায়ের করা দু'টি এফআইআরের ভিত্তিতেই অনিলের নানা সংস্থায় হানা দিয়েছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার মতে, চুপিসারে আমজনতার অর্থ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা থামানো গিয়েছে এই তল্লাশির ফলে।
গতকালই রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস এবং তার প্রোমোটার ডিরেক্টর অনিল ডি আম্বানিকে ‘ফ্রড’ হিসাবে উল্লেখ করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সোমবার সংসদে কেন্দ্র জানায়, এবার সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। ২৪ জুন রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে পুরো বিষয়টি রিপোর্ট করে স্টেট ব্যাঙ্ক। তারপরই সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
অনিল আম্বানির সংস্থা আগেই নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। সম্পত্তি বেচে পাওনাদারদের দেনা মেটানোর চেষ্টাও করেছেন রিলায়েন্সের কর্ণধার। কিন্তু তাতেও সমস্যা কমছে না অনিল আম্বানির। গত বছর তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া বা সেবি। একই সঙ্গে রিলায়েন্স হোম ফাইনান্সের প্রাক্তন কর্তাকে ২৫ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। আসলে ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে অনিল-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স সংস্থার তহবিল থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরেই তাঁদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এর আগে ২০২৩ সালে ইডি তলব করেছিল অনিলকে। দীর্ঘ জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এর আগে ২০২০ সালেও একবার অনিল আম্বানিকে তলব করেছিল ইডি। ইয়েস ব্যাংকের ঋণ মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। পরে সেই অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুর। এবার ফের ইডির কোপে পড়লেন অনিল।
