shono
Advertisement

সিলেবাসে নেই! নতুন সংসদ ভবনে তবুও ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ ইকবাল

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস থেকে ছিটকে যেতে পারেন গীতিকার ইকবাল।
Posted: 05:01 PM May 28, 2023Updated: 06:36 PM May 28, 2023

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: তিনি না কি দেশভাগের নেপথ্য কারিগর। পাকিস্তান ভাবনার স্রষ্টাই না কি তিনি। আর তাই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) সিলেবাস থেকেই ছিটকে যেতে পারেন ‘সারা জাঁহা সে আচ্ছা’র গীতিকার ইকবাল। অথচ সেই ‘পাকিস্তানের জাতীয় কবি’র গানেই গমগম করে উঠল নতুন সংসদ ভবন। উদ্বোধনের দিনই নয়া সংসদ ভবনে বেজে উঠল ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্থান হামারা।’

Advertisement

২৮ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সকালে পুজোপাঠের মাধ্যমে শুরু হয় সংসদ উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান। যজ্ঞ এবং পুজোর পর সর্বধর্ম প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেন তামিলনাড়ুর মঠের অধিনামরা। সেই সেই সেঙ্গল সংসদে প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভার স্পিকারের আসনের পাশে প্রতিষ্ঠিত হয় এই পবিত্র রাজদণ্ড। বক্তব্যও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর নতুন সংসদ ভবনে দু’টি শর্ট ফিল্ম দেখানো হয়।

[আরও পড়ুন: বাড়িতে আসা নয়া ভাড়াটিয়া আফ্রিকার অপরাধী নয়তো? সতর্ক করছে কলকাতা পুলিশ]

একটি শর্ট ফিল্ম ছিল সংসদ ভবন তৈরির উপর, আরেকটি ছিল সেঙ্গল সংক্রান্ত। নয়া সংসদ ভবনের শর্ট ফিল্মটিতেই ব্য়বহার করা হয়েছে ‘সারে জাঁহা আচ্ছা, হিন্দুস্থান হামারা’ গানটি। নতুন সংসদ ভবন গমগম করে উঠল গানটি। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানের গীতিকার পাকিস্তানের ‘জাতীয় কবি’ মহম্মদ ইকবালকে (Muhammad Iqbal) বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাব পাস হতে বাকি কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চূড়ান্ত সম্মতি। তাহলেই পাঠ্যসূচি থেকে বাদ চলে যাবেন ইকবাল। এমতবস্থায় নয়া সংসদ ভবনে বাজল তাঁর লেখা গানই।

[আরও পড়ুন: নতুন সংসদের উদ্বোধনের দিনই ভূলুণ্ঠিত দেশের গর্ব, এই কি প্রাপ্য ছিল সাক্ষী-ভিনেশদের?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement